
ফেসবুকে পোস্ট করার অপরাধে এক সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাত ১১টার দিকে মাদারীপুরের শিবচরে উপজেলার মাদবরচর এলাকার চিতাখোলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ওই সাংবাদিকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা। পরে পুলিশ এসে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ।
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শিবচরসহ মাদারীপুরের কর্মরত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী বলেন, আমার সমর্থক বড় কথা নয়। অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা যে কেউ নিতে পারে। আমি অত্যন্ত ক্লিন ইমেজের মানুষ, আমি উচ্ছৃঙ্খলতা পছন্দ করি না। এটা শিবচরের সবাই জানে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার তার এক সমর্থক শিবচর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল মুন্সি উপজেলার পাঁচ্চরে গার্লস স্কুলের সামনে টাঙিয়ে রেখেছিল। ব্যানারটি একটু নিচু স্থানে হওয়াতে সেই ব্যানারে পথচারীরা বিভিন্ন সময়ে অসাবধানতাবশত আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন, এমন একটি ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ১৭ এপ্রিল গ্লোবাল টেলিভিশনের মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি এম এ কাইয়ুম প্রচার করে। এ ঘটনার জের ধরেই রোববার রাতে মাদবরচরের চিতা খোলা নামক স্থানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রুবেল মুন্সির নেতৃত্বে ওই সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়। হামলার সময় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ বলেন, খবর পেয়ে গত রাতেই আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে শিবচর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আহত সাংবাদিক আমাদের কাছে অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম এ কাইয়ুম বলেন, আমি এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। আমি দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য থানায় এসেছি।