সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় জমি ও কবরস্থান দখল সংক্রান্ত বিরোধের প্রেক্ষাপটে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন মোঃ আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তি। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সাপাহারের জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরেন এবং প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করেন।
মানববন্ধনে মোঃ আতাউর রহমান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি দিলালপুর মৌজার দাগ নং ৩০৮ (পুকুর) ও ৩০৯ (পাহাড়) এর মোট ১.১৩ একর জমি (পুকুর ৩৫ শতাংশ, পাহাড় ৭৮ শতাংশ) জমিদারীর কাছ থেকে পত্তন নিয়েছি। এ জমির মালিকানা নিয়ে আমার দায়ের করা মামলা বর্তমানে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, সাপাহারে বিচারাধীন রয়েছে, যেখানে আমি বাদী এবং সরকার বিবাদী।”
তিনি আরও বলেন, “প্রয়োজনে সাপাহারের সচেতন নাগরিকরা সরেজমিন তদন্ত করে দেখতে পারেন। আমি যদি প্রকৃত অপরাধী হই, তবে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক—আমি তা মাথা পেতে নেব।”
আতাউর রহমান দাবি করেন, বাদ নিশ্চিন্তপুর পালপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য (ওয়ার্ড নং-৬৪ ইউপি গোয়ালা) মোঃ শফিকুল ইসলাম (মেম্বার) একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ। তিনি বলেন, “আমার লিজ দেওয়া আম বাগান থেকে মোঃ শফিকুল প্রায় ১৫০০ কেরেট আম লুট করেছেন, যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “শফিকুল ইসলাম ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে নিশ্চিন্তপুর হাই স্কুলের সভাপতির পদ দখলের চেষ্টা করছেন। তিনি ‘কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি জাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন, যা তদন্ত করে দেখা উচিত।”
আতাউর রহমান দাবি করেন, “শফিকুল ইসলাম ১৯৮৫ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত। তিনি আম বাগান নিধনের পরিকল্পনা করছেন এবং লাইলী বেগমের পরিবারের কাছ থেকেও চাঁদাবাজি করেছেন।”
আতাউর রহমান সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমার পরিবার বর্তমানে সফিকুল মেম্বারের গুন্ডা বাহিনীর হুমকির মুখে রয়েছে। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। আমি ন্যায়বিচার চাই এবং প্রতিটি অভিযোগ যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই।”
এর আগে বেলা ১২ টায় আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে নিশ্চিন্তপুর, বাদ নিশ্চিন্তপুর ও মাইপুর এলাকার লোকজন একটি বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।
