সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ান আহমদ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন। ‘গণতন্ত্রের মুক্তি চাই- আবার যেতে হবে যুদ্ধে’ শীর্ষক একটি গান প্রকাশের পর তিনি তৎকালীন সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন।
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রেজওয়ান আহমদ সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছুবেন। তাকে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে জড়ো হবেন সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
রেজওয়ানের রাজনৈতিক সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ছাত্রদল ও যুবদলের মহানগর ইউনিটে নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই বলয়ের নেতৃস্থানীয় হওয়ায়, মিছিলের সামনের সারিতে থেকে ছাত্রদল ও যুবদলকে সুসংগঠিত করতে ভূমিকার কারণে তিনি অনেক মামলায় আসামি হন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী প্রায় প্রতিদিনই নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত আম্বরখানা মনিপুরীপাড়ার আলো-৭ নং বাসাতে তার খোঁজে যেতো। তিনি বহুদিন বাড়িতে রাত্রিযাপন করতে পারেননি। পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। কারাগারে পর্যন্ত যেতে হয়েছে।
সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ান আহমদ জানান, বাংলাদেশে থাকাবস্থায় প্রায় দেড়দশক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ছিলাম। দেশে থাকাকালীন অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। অনেকবার আমাকে কারাবরণ করতে হয়েছে।
গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনের সৈনিক রেজওয়ান বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীরের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হই। আমার মূল অপরাধ ২০১৬ সালে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও ২০১৯ সালে সিলেট মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য থাকাকালীন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে ‘গণতন্ত্রের মুক্তি চাই’- শীর্ষক একটি গান প্রকাশ হয়। যা বেশ সমাদৃত ছিল। এসব কারণে সরকারের মুখোশ জনগণের সামনে ধরা পড়ে। আমি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর রোষানলে পড়ি। তারা আমাকে বারবার গ্রেফতারের, হত্যা করে লাশ গুম করার ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। আমি আত্মরক্ষার্থে দেশান্তরী হই।