জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর এবার তা হত্যা মামলার রূপ নিয়েছে। এ মামলায় তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির পর এবার চলছে অবস্থান শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া। দ্রুতই অভিযুক্ত আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান রমনা থানার ওসি ওমর ফারুক।
এদিকে সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।
হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য ১০ আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ।
গত ২০ অক্টোবর সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেয়া নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম।
এ প্রসঙ্গে রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবার শিগগিরই ১১ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসি গোলাম ফারুক আরও বলেন, অভিযুক্ত আসামিদের কয়েকজন দেশের বাইরে আছেন। অনেকে দেশে আছেন। দেশে থাকা আসামিরা যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন সেজন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সবটা অবগত করা হয়েছে। দেশে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা যতটা সম্ভব দ্রুত কাজ করতে চেষ্টা করছি। আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।
সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। তবে এতে দ্বিমত পোষণ করেন সালমান শাহর পরিবার। তাদের দাবি, সালমান শাহকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সবাইকে বিস্মিত করে না ফেরার দেশে চলে যান নায়ক সালমান শাহ। মৃত্যুর এত বছর পরও দর্শক হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন ঢালিউডের হার্টথ্রব নায়ক সালমান শাহ।