
সিলেটের রাজপথ কাঁপালো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। তারা ব্যারিকেড দেওয়া, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর, যাত্রী ও চালকদের উপর হামলাও করেছে। তবে বড় কোনো অঘটন ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলে এ আন্দোলন। পরে তারা তাদের দাবি দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপি সিলেটের জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার কাছে তুলে দেন।
২২ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে সিলেটে শুরু হয়েছে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে মহানগর পুলিশের বিশেষ অভিযান। টানা তিন দিনের অভিযানে কয়েকশ’ অবৈধ যানবাহন আটক করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে প্রচুর।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর আলিয়া মাদরাসা মাঠ জড়ো হতে থাকেন ব্যাটারিচারিত রিকশা চালকরা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান নেন। তারা বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেন এবং আটক রিকশা ফেরত ও নগরীর পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এসময় নয়াসড়কগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার উপর হামলা করে তারা ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। এসময় একজন যাত্রীর গায়েও হাত তুলেছে তারা।
এরপর ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা আবারও মিছিল নিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা আটক রিকশা ফেরত ও একটি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে তাদের লাইসেন্স প্রদান এবং নগরীর প্রধান সড়ক বাদ দিয়ে পাড়া-মহল্নায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর অনুমতির দাবি জানান।
পরে দুপুর ১২টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে জিন্দাবাজার, কোর্ট পয়েন্ট হয়ে সিটি পয়েন্টে অবস্থান করেন। এসময় রিকশা শ্রমিকরা নগরভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়েন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নগরভবনের গেইটের উপর চড়ে বসার চেষ্টা করেন।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
এসময় রিকশা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় অফিসে নেই। একটি জরুরী কাজে তিনি বাইরে আছেন। ইতিমধ্যে আপনাদের দাবির বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আরও হবে। তিনি আসুন। বিষয়টির সন্তোষজনক একটা সমাধান হবে।
স্মারকলিপি প্রদান বা গ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ারুজ্জামান।
তিনি আরও জানান, অনিবার্য কারণে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আজ বৃস্পতিবার কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
আর ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলন ও ভাঙচুরের বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভাঙচুর বা হামলার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। কোনো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অভিযোগ জানালে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।