
আইনুল হক, সি.কৃ.বি. প্রতিনিধি : আজ পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক এই দিবসটি। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে পরিচিত ১ মে কেবল একটি ছুটির দিন নয়, বরং শ্রমের মর্যাদা ও শ্রমিকের অধিকারের কথা বলার দিন। দিবসটি ঘিরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছেন তাদের উপলব্ধি ও দায়বদ্ধতার কথা।
শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব,
আজকের দিনটি, ১ মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে, এই দিনটি আমাদের জন্য শুধু এক স্মরণীয় দিন নয়, বরং শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমাদের দায়িত্ব ও ভূমিকা উপলব্ধি করার একটি সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাজের বিবেক হিসেবে কাজ করে। আমাদের দায়িত্ব হল শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমরা যদি শ্রমিকদের সংগ্রামের ইতিহাস জানি এবং তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হই, তাহলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। মে দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শ্রমিকদের সংগ্রাম ছাড়া সমাজের উন্নতি সম্ভব নয়। তাদের শ্রম ও ত্যাগের ফলেই আমরা উন্নত জীবনযাপন করছি। তাহলে, আসুন আমরা সবাই মিলে শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখি।
মোঃ ইসহাক হাসিব-ভেটেরিনারি অনুষদ,আধুনিক সভ্যতার প্রতিটি স্তম্ভ শ্রমিকের ঘামে গড়া,শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের রক্তঝরা ইতিহাস বহন করে মে দিবস। ১৮৮৬ সালের ১ মে শিকাগোর হে মার্কেট চত্বরে শ্রমিকদের আত্মত্যাগের স্মরণে আজও আমরা এই দিনটি পালন করি। আধুনিক সভ্যতার প্রতিটি স্তম্ভ শ্রমিকের ঘামে গড়া। অথচ এখনও তারা ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং মানবিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। মে দিবস আমাদের সজাগ করে তোলে—শ্রমিকের পাশে দাঁড়ানো, শোষণমুক্ত সমাজ গড়া আমাদের সবার দায়িত্ব।
মোঃ রাগিবুল মাহের, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ- শ্রমিকরা আমাদের দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি,শ্রমিকরা আমাদের দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তুলছেন দেশ। তাই তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। শ্রমিকের সম্মান ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
মোঃ জামিল আহমেদ-ভেটেরিনারি অনুষদ,শিক্ষার্থীদের শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে হবে শ্রমের কোনো লজ্জা নেই—বরং প্রতিটি সৎ শ্রমই গর্বের। কৃষক, নির্মাণশ্রমিক, গার্মেন্টসকর্মী—সবার শ্রমেই গড়ে উঠছে আমাদের সমাজ ও অর্থনীতি। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মনে করি, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন। আগামী দিনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদেরই শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে হবে। আমি এই মে দিবসে প্রতিজ্ঞা করি—শ্রমকে সম্মান করব, শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকব।
মোঃ শাহিন সরকার,কৃষি অনুষদ- শ্রমিক শ্রেণির আত্মত্যাগ ও বর্তমান বাস্তবতায় শিক্ষার্থীদের এমন সচেতন ভাবনা প্রমাণ করে, আগামী প্রজন্ম কেবল বইয়ের জ্ঞানেই নয়, বরং সামাজিক দায়বদ্ধতায়ও এগিয়ে থাকতে চায়। মে দিবস হোক সে চেতনার নতুন আলো।