বৃহস্পতিবার সিলেটের অনুশীলনে কিছুক্ষণের জন্য যোগ দেন মাশরাফি। কিন্তু এই সময়ে ব্যাটিং-বোলিং কিছুই করেননি। তবুও পুরো দলকে দেখা গেছে উদ্বুদ্ধ। মোহাম্মদ মিঠুন বলছেন, মাশরাফি সবসময়ই এমন।
ক্যামেরার অস্থিরতাও থাকলো তাকে বন্দি করার। দু তিনবার দৌড়ানোর চেষ্টাও করলেন, কিন্তু তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন বলে মনে হয়নি।
নির্বাচনী ব্যস্ততার পর মাশরাফির পুরোনো পায়ের ব্যথা বেড়েছে। এর মধ্যেই তাকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এরপরও মাশরাফি প্রথম ম্যাচ থেকে খেলবেন কি না, এ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছিল না। তবে দলের সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি উনি অ্যাভেইলেবল আছেন।
মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘মাশরাফি ভাই এখন এরকম নয়, উনি আগে থেকেই এমন। দলের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যান। গতকাল যখন উনি মাঠে এসেছেন, অনুশীলন করেননি কিন্তু যে ১০-১৫ মিনিট দলের সঙ্গে ছিলেন সেটুকু সময় ওভাবে মেলবন্ধন তৈরি করে নিয়েছেন। আমরা সবাই জানি মাশরাফি ভাই কেমন, উনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কারও কোনো অসুবিধা হবে না। ’
গত আসরের বিপিএল শুরুর আগে বেশ আলোচনা-সমালোচনা ছিল। ডিআরএস না থাকায়ও অনেক কথা হয়েছিল। গত আসরের সঙ্গে এবারের কী পার্থক্য দেখছেন? এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল মিঠুনকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড় হিসেবে এত পার্থক্য খুঁজি না। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকি যে আমরা কীভাবে ভালো করতে পারি। আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিছি। যদি পার্থক্য বলেন, গতকাল টিম মিটিংয়ে আমি বলেছি, ডিআরএস প্রথম থেকেই থাকছে, এটা অবশ্যই সাধুবাদ জানানোর মতো বিষয়।
‘টুর্নামেন্টটা করাই তো আমাদের দেশি ক্রিকেটারদের উন্নতি করার উদ্দেশ্যে। অবশ্যই দেশি খেলোয়াড়দের সবসময় সুযোগ থাকে। কারণ আমাদের একমাত্র টুর্নামেন্টে যে কাভারেজ হয়, এজন্য এটাকে আমাদের সবথেকে বড় মঞ্চ বলা হয়। এখানে পারফরম্যান্স করলে হাইলাইটস ভালো হয়। এজন্য আমাদের সকল ক্রিকেটার চেষ্টা করে যে বিপিএলে সেরা পারফরম্যান্স নিয়ে যেন আলোচনায় আসতে পারে।