ঢাকারবিবার , ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিলেটের আখালিয়ায় হাত বাড়ালেই মাদক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

rising sylhet
rising sylhet
ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ ৫:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

মোঃ জামাল উদ্দিন,:: ওলী-আউলিয়ার পদচারনার স্মৃতি বিজড়িত আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটের আখালিয়ায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে মাদকের বিস্তার। পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য। প্রকাশ্যে ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল, চোলাই মদ কেনা-বেচা ও সেবন দেদারসে চললেও নিরব ভূমিকায় থানা পুলিশ! আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা এবং প্রাপ্তির সহজলভ্যতায় আসক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ছে কিশোর-তরুণ যুব সমাজ। মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছেন সেবনকারীরা। প্রতিনিয়ত ঘটছে কোথাও না কোথাও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ, এয়ারপোর্ট ও কোতোয়ালি থানাধীন আখালিয়ায় নগরের ৮,৯, ৩৭ তিনটি ওয়ার্ড। গত দুই বছরে মাদক সেবনকারী ও কারবারির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিটি পাড়া মহল্লার অলিগলিতে সক্রিয় কারবারিদের সিন্ডিকেট। গ্রেফতার এড়ানো নির্বিঘ্নে বেচা-কেনা নিশ্চিতে গড়ে তোলা হয়েছে নিজস্ব সশস্ত্র নিরাপত্তা বলয়। মোবাইল কল, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে চলে যোগাযোগ। চা-বাগান ও জেলার বিভিন্ন স্থান সুত্র থেকে সংগ্রহ করা মাদকদ্রব্য কেউ কেউ বাড়িতে বসেই বেচা-কেনা চালিয়ে যাচ্ছে। সব দেখেও পরিবারের সদস্যরা নিশ্চুপ! আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মুখ খুলতে চাননা খোদ স্থানীয় বাসিন্দারাও।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শুধু ৩৭নং ওয়ার্ডের ১১পাড়ায় নতুন পুরাতন মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ১৫’র অধিক কারবারি। তাদের কেউ কেউ গ্রেফতার হয়ে খেটেছেন জেল। প্রতিদিন বিকাল হলেই ওয়ার্ডের অন্যতম টিলারগাঁও, ডলিয়া, বড়গুলের মাদক স্পট গুলোতে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের আনাগোনা। কেনা-বেচা চলে গভীর রাত অবধি। যার জন্য ভদ্র মানুষের চলাচল দায় হয়ে পড়ে। চা-বাগান থেকে কয়েক কিলোমিটার এর মধ্যে পাহাড়-টিলা ঘেরা টিলারগাঁও, ডলিয়া, বড়গুল। মাদক কারবারি ও সেবনকারীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ায় সহজেই মিলে যায় ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল, চোলাই মদ। বহন সুবিধাজনক হওয়ায় ইয়াবার বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি। ঝুঁকি না নিয়ে অনেকে টিলায় গড়ে ওঠা নতুন পুরাতন বাসা-বাড়িতে গিয়ে করে সেবন।

এনিয়ে, গত এপ্রিল মাসে মাদক ও কিশোর গ্যাং বিরোধী মতবিনিময় সভা আয়োজন করে ৩৭নং ওয়ার্ডবাসী। নগরের এয়ারপোর্ট ও জালালাবাদ থানা পুলিশ প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে টিলারগাঁও পয়েন্টে আয়োজিত সভায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী, সাংবাদিক, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও যুব সমাজের উপস্থিতিতে ওয়ার্ডে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়। এসময় মাদকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের জোরালো ভূমিকা রাখার আশ্বাস ব্যক্ত করা হলেও, কথাতেই দায় সারে থানা পুলিশ!

সরেজমিন, তিন ওয়ার্ডের টিলারগাঁও, ডলিয়া, বড়গুল, মুহাম্মদি, জালালিয়া, যুগীপাড়া, নতুন বাজার, ৩নং কলোনি, নোয়াপাড়া, হাওলাদারপাড়া, কালিবাড়ি, করেরপাড়া, ধানুহাটা, আখালিয়া, নেহারিপাড়া, আখালিয়া ঘাট, বড়বাড়ি এলাকার স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ কালে মাদক কেনা-বেচা, সেবন ও বিস্তৃতির সত্যতা পাওয়া যায়। ভয় নিরাপত্তা জনিত আশংকায় নাম পরিচয় প্রকাশ করতে না চাইলেও একাধিক ব্যক্তি মাদকের বিস্তার রোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোদক জানান, তিনি অত্র কার্যালয়ে নতুন যোগদান করেছেন। বিষয়টি জানা নেই, প্রতিবেদককের মাধ্যমে যেহেতু জেনেছেন মাঠপর্যায় থেকে অনুসন্ধান শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরীর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করলে তিনি জানান, বিষয়টি দেখবেন, পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।