সিলেটের রাজপথ অবৈধ গাড়ি চলবেনা, চলবেনা চলবেনা’ শ্লোগানে মুখর । ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে সিলেটের নাগরিক সমাজের পদযাত্রা কর্মসূচিতে এমন শ্লোগন উঠেছে।
সকাল সাড়ে ১১টার আগ থেকে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে জড়ো হতে থাকেন সচেতন নগরবাসী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা আরিফুল হক চৌধুরীর আহ্বানে অনুষ্টিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, ছাত্র-শিক্ষক, আইনজীবী, পরিবহণ সেক্টরের নেতৃবৃন্দ, সমাজকর্মীসহ অন্যান্য অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সচেতন নগরবাসী।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ হয় চৌহাট্টাস্ত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে এ পদযাত্রা সংক্ষিপ্ত পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
পথসভায় বক্তারা সিলেট মহানগর থেকে অবৈধ যানবাহন ও ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন যে অভিযান শুরু করেছেন তাকে স্বাগত জানিয়ে সার্বক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
তারা বলেন, এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কারণে নাগরিক জীবনে নানা জটিল সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে যানজট এবং প্রতিদিন অসংখ্য ছোটোবড়ো দুর্ঘটনা ঘটছে। অভিযান শুরুর পর থেকে সিলেটের হাসপাতালগুলোর জরুরী বিভাগের ব্যস্ততা অনেক কমেছে। যানজট কমায় নগরজীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে।
এসময় পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ‘ অবৈধ যানবাহন চলবেনা, চলবেনা চলবেনা’, ‘নগরবাসীর প্রাণের দাবি, অবৈধ যানবাহন বন্ধ করো’, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা জনগনের মরণ ফাঁদ’, ‘অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও জনগন’ ইত্যাদি লেখা প্লেকার্ড বহন করেন।
সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সমাপনি বক্তব্যে যেকোনো মূল্যে পর্যটন নগরী সিলেটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে দুর্গপূজার পর আরও বড় পরিসরে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্যাটািরচালিত রিকশা আটক এবং রাজপথ ও ফুটপাত দখল মুক্ত করতে সিলেটের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
