
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট এম এ সালেহ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় পার্টি যেদিকে যায়, দেশের রাজনীতিও সেদিকে যায়। আগামীতে জাতীয় পার্টির সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। বিদিশা এরশাদ ও এরিক এরশাদের নেতৃত্বে আমাদের আগামীর নতুন মডেল বাংলাদেশ গড়তে হবে। তিনি আরো বলেন, মনে রাখতে হবে এরিক এরশাদ হচ্ছে জাতীয় পার্টি মালিক ও এরশাদের একমাত্র উত্তরাধিকারী। নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে। নিজেদের শক্তিশালী করতে হবে এবং আমাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে হবে। জনগণ কী চায়, সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যেখানে প্রতিবাদ কিংবা দাবির প্রয়োজন হবে, সেখানে সেভাবে কাজ করতে হবে। আমাদেরকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর আলোকে কাজ করতে হবে। আমরা দেশবাসীর চিন্তা করছি। আমরা যদি সবাই এক থাকি, তাহলে সব সম্ভব। আর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে। ইতিহাস ও ঐতিহ্য আমাদের শিকড়, এটা ভুলে গেলে চলবে না।
গতকাল (১ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জাতীয় পার্টির সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান এর পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি মোঃ জামাল মিয়া, সিলেট জেলার সিনিয়র সহ সভাপতি লিয়াকত আলী খান, সিলেট মহানগর ছাত্রসমাজ সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন বাদশা, জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি বিষ্ণু রবি দাস, সিলেট মহানগর যুব সংহতির সভাপতি আনন্দ দাস প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির সিলেট জেলা সভাপতি এডভোকেট কবির আহমদ বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় পার্টির জন্ম হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় যাব, যদি আমাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও ঐক্য থাকে। আর যদি মানুষের কাছে যেতে পারি, মানুষ পরিবর্তন চায়।
সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় পার্টি মাটি ও মানুষের উন্নয়নে সব সময় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের রাজনীতি করতে হবে। জাতীয় পার্টি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতি করে। উন্নয়নপ্রত্যাশী ও শান্তিপ্রিয় মানুষ আজ জাতীয় পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ। সারা দেশে জাতীয় পার্টি সুসংগঠিত। আবার জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়।
পরে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন স্হানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।