
রাইজিংসিলেট- সিলেট অঞ্চলে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থীদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে কয়েকটি আসনে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাধিক আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এখন এসব বিষয় ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
দলীয় নীতিনির্ধারকরা বলছেন, মনোনীত প্রার্থীরা স্থানীয় পর্যায়ে ঐক্য গড়তে পারছেন কি না, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কেউ যদি ঐক্যের উদ্যোগ নেন, অথচ অন্যরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরোধিতা করেন—তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার, প্রার্থীরা যদি সংগঠন ঐক্যবদ্ধ রাখতে ব্যর্থ হন, তাহলে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনারও সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে সাবেক মেয়র ও বর্তমান উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীকে সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর) আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। এর পরই তিনি মাঠে নেমে প্রচারণা শুরু করেছেন। অন্যদিকে, সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ–কানাইঘাট) আসনে এখনো কোনো প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়নি।
তবে ঘোষণার পর থেকেই সিলেটের তিনটি আসনে প্রার্থী নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় নেতারা প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকও করেছেন। জানা গেছে, কিছু জনপ্রিয় নেতা মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ। তাদের অনেককেই অন্য রাজনৈতিক দল প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে, যা বিএনপির ভোটে বিভাজন তৈরি করতে পারে।
সিলেটের যে আসনগুলোতে বিরোধ
বিশেষ করে সিলেট-৪ আসনে উত্তেজনা বেশি। এ আসনে বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু জেলা বিএনপির আরেক উপদেষ্টা আবদুল হাকিম চৌধুরীকে প্রার্থী করার দাবিতে গোয়াইনঘাটের নয়াবাজারে মশাল মিছিল হয়েছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানও এ আসনে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
দলীয় উচ্চপর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রয়োজনে প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়েও দল প্রস্তুত রয়েছে।