ঢাকারবিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিলেটে ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের প্রস্তুতি

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ২৩, ২০২৫ ২:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

রাইজিংসিলেট- সিলেটে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক ভূমিকম্পে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। কখনো মেঘালয়ের ডাউকি ফল্ট, কখনো আবার সিলেট বিভাগ কিংবা ঢাকার কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন কম্পনের কারণে নগরবাসী সারাক্ষণ উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা স্থানীয় ফল্টলাইনগুলো আবার সক্রিয় হয়ে ওঠায় এ অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। ভূতাত্ত্বিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত সিলেটে বড় ধরনের দুর্যোগের সম্ভাবনাও তাই বাড়ছে। এ অবস্থায় শহরের বহু পুরনো ও নড়বড়ে ভবনকে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হিসেবে দেখছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। বড় কম্পন হলে এগুলো ধসে পড়লে ভয়াবহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয়ে উদাসীন থাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো এবার সক্রিয় হয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম জানান, নগরীর ২৩টি ভবনকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এগুলো দ্রুত ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তালিকায় সরকারি ও বেসরকারি—দুই ধরনের স্থাপনাই রয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই অপসারণ কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, শহরের বেশিরভাগ পুরনো ভবনের নকশায় ভূমিকম্প প্রতিরোধী কোনো কাঠামোগত ব্যবস্থা নেই। ফলে তীব্র কম্পনে এসব ভবনে বড় ধরনের ক্ষতি ও ধসের সম্ভাবনা থাকে। ঝুঁকির তালিকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট ও আবাসিক ভবনসহ নানান ধরনের স্থাপনা রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় তিন দফা ভূমিকম্পে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক সেকেন্ড ব্যবধানে ৩.৭ ও ৪.৩ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। একই দিন সকালে ৩.৩ মাত্রার আরেকটি কম্পন হয়। এর আগের দিন ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু এবং কয়েকশ মানুষ আহত হন।

জেলা প্রশাসক জানান, চিহ্নিত কিছু ভবনে এখনো মানুষ বসবাস বা ব্যবসা করছেন, যা বড় বিপদের কারণ হতে পারে। তাই জননিরাপত্তার স্বার্থেই দ্রুত অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকাজে অন্যতম চ্যালেঞ্জ সংকীর্ণ রাস্তা—যেখানে ফায়ার সার্ভিসের বড় যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না।

২০১৯ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করেছিল। এর মধ্যে ৬টি সংস্কার করা গেলেও বাকি ১৮টি এখনো বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে—সমবায় ব্যাংক ভবন মার্কেট, মধুবন মার্কেট, সুরমা মার্কেট, মিতালী ম্যানশন, রাজা ম্যানশন, নবপুষ্প-২৬/এ, আজমীর হোটেলসহ আরও কয়েকটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। এ ছাড়া পূর্বের তালিকা থেকে কিছু ভবন ইতোমধ্যে ভেঙে বা সংস্কার করে ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে—যেমন কালেক্টরেট ভবন-৩, বন্দরবাজার সিটি সুপার মার্কেটের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ, কিবরিয়া লজ, বনকলাপাড়ার নূরানী-১৪ ও ধোপাদিঘীর পাড়ের পৌর শপিং সেন্টার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব ভবনের দেয়ালে বড় ফাটল, সিঁড়িতে নড়চড়, এবং কিছু ভবন একপাশে হেলে পড়েছে। তাই বাসিন্দারা প্রতিদিনই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছেন। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সিলেট ও পার্শ্ববর্তী মেঘালয়ে একাধিক ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঘটায় ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বাড়ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।