
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের পতনের এক বছরেরও বেশী সময় পার হলেও দেশে কাঙ্খিত স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জুলাই আন্দোলনে পতিত ফ্যাসিস্ট কর্তৃক ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার হওয়া সম্ভব হয়নি। যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। পতিত ফ্যাসিস্টের দোসর এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এখনো প্রকাশ্যে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদির উপর প্রকাশ্য গুলী এর উজ্জল প্রমাণ। এর দায় অন্তর্বর্তীকালিন সরকারকেই নিতে হবে। অবিলম্বে সকল প্রকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে। নির্বাচনে লেবেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। কোন ষড়যন্ত্রই নির্বাচন বানচাল করতে পারবেনা। যথা সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে ৮ দল যৌথভাবে অংশ নিবে। দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি নির্বাচনে জুলাই সনদের আইনীভিত্তির জন্য গণভোটে ‘হ্যা’কে বিজয়ী করতে হবে।
তিনি শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর জামায়াতের থানা দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
মহানগর নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, জেলা আমীর ও সিলেট-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান, জামায়াতের সিলেট অঞ্চল টীম সদস্য ও সিলেট-১ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারী জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, বায়তুল মাল সেক্রেটারী মুফতী আলী হায়দার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শাহীন আহমেদ ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি তারেক মনোয়ার প্রমূখ।
সমাবেশে সিলেট মহানগরীর সকল সাংগঠনিক থানা আমীর-সেক্রেটারীসহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।