
রাইজিংসিলেট- সিলেট রেল স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি নিয়ে চলমান অভিযোগ ও অসন্তোষের প্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার সকালবেলা হঠাৎ করেই স্টেশন পরিদর্শনে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
পরিদর্শনের সময় তিনি টিকিট বিক্রির তালিকা পর্যালোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনের পাশাপাশি, স্টেশনের ভেতরে অবৈধ গাড়ি পার্কিং ও রেলওয়ের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলোর খোঁজখবরও নেন তিনি। জেলা প্রশাসক এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, “এই স্টেশন থেকে সরাসরি খুব কম সংখ্যক টিকিট বিক্রি হয়, বেশিরভাগ টিকিট অনলাইন বা অন্যান্য জায়গা থেকে বিক্রি হয়ে যায়। মাত্র ২-৫ মিনিটে সব টিকিট শেষ হয়ে যাওয়া প্রশ্নবিদ্ধ। এতে কোনো না কোনো অনিয়ম জড়িত রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, একজনের টিকিটে অন্যজন যেন ভ্রমণ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) যাচাই করে টিকিট বিক্রি নিশ্চিত করা গেলে কালোবাজারি অনেকটা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
এ সময় উপস্থিত এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সিলেট ও শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনে সবচেয়ে বেশি টিকিট কালোবাজারি হয়, এবং এ বিষয়ে স্থানীয় কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। জেলা প্রশাসক এই অভিযোগ তদন্তের আশ্বাস দেন।
এদিকে সিলেটের যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, রেল স্টেশনে গিয়েও টিকিট পাওয়া যায় না, আবার অনলাইনেও টিকিট উন্মুক্ত হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। ফলে সাধারণ যাত্রীদের টিকিট পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাত্রীরা দাবি করছেন, অধিকাংশ টিকিট কালোবাজারে চলে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সিলেটে রেলসেবা উন্নয়ন, ট্রেন সংখ্যা বৃদ্ধি, রেললাইন সংস্কার এবং কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।