বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর সভাপতি সিদ্দিক আহমদ বলেন, ২৬শে মার্চ জাতির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিনটি জাতির ত্যাগ ও অর্জনের স্মারক। স্বাধীনতা দিবসে জাতির বীর সন্তানদের আত্মত্যাগকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আমাদের মহান স্বাধীনতার লক্ষ্য হচ্ছে, এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, ইনসাফ, গণতন্ত্র, সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা। আজ ৫২বছর পরেও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ থেকে এজাতি বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল ঐক্য। স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক হীনস্বার্থে বিভেদের দেয়াল তৈরী করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আজ দেশে ফ্যাসিবাদী শাসনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। স্বাধীন দেশে ধর্মীয়, আর্থিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও মানুষের জীবন ও শ্রমের কোনো মূল্য নেই। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। ক্যাম্পাসগুলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই রক্তে অর্জিত একটি স্বাধীন দেশের সভ্য চিত্র হতে পারে না। অবশ্যই এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার লক্ষ্যে ছাত্রশিবির প্রতি বছর এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে। বিভেদ নয়, ঐক্যের ভিত্তিতে ছাত্রশিবির সোনালী বাংলাদেশ উপহার দিতে চায়।
তিনি রোববার ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালী পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সিলেট মহানগর সেক্রেটারী ছাত্রনেতা শরীফ মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি সভাপতি মিসবাহুল করীম, সিলেট জেলা পূর্ব সভাপতি ছাত্রনেতা আব্দুল হালীম, সিলেট জেলা পশ্চিম সভাপতি রায়হান আহমদ সহ মহানগর নেতৃবৃন্দ।
উক্ত র্যালীতে মহানগর ছাত্রশিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।