
হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার শেষে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। হবিগঞ্জের রঘুনন্দন এলাকায় ১৯৮৮ সালে ৫ নম্বর কূপটি খনন করা হয়। কূপটি থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
তবে ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে উৎপাদন বেড়ে প্রতিদিন ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যাবে জাতীয় গ্রিডে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপটি ১৯৮৮ সালে খনন করা হয়। তখন থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হতো। পরবর্তীকালে চাপ কমে আসায় উৎপাদনও হ্রাস পায়। পরে ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিতাস, হবিগঞ্জ ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের সাতটি কূপে ওয়ার্কওভার প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড। এর অংশ হিসেবে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গত ২৪ নভেম্বর থেকে বাপেক্স হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে এবং ২৭ নভেম্বর কাজ সম্পন্ন হয়।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, হবিগঞ্জ-৫ সহ এখন পর্যন্ত ২১টি কূপের কাজ শেষ হয়েছে এবং আরও ২৯টি কূপের কাজ চলমান। চলতি মাসে আরও চারটি কূপের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনাও রয়েছে।
মূলত গ্যাসের সঙ্গে পানি ওঠাসহ নানা জটিলতার কারণে ৫ নম্বর কূপটির ওয়ার্কওভারের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ অক্টোবর কূপটির ওয়ার্কওভার শুরু হয়ে শেষ হয় ২৭ নভেম্বর। এতে ব্যয় হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের মোট ১১টি কূপের মধ্যে বর্তমানে সাতটি সচল রয়েছে। এসব কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান জানান, ত্রি-মাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে নতুন গ্যাসক্ষেত্র শনাক্ত ও খননের কাজ চলছে। তিনি বলেন, “২০২৫–২৬ সালের মধ্যে মোট ৫০টি কূপ খনন সম্পন্ন করব। এই কূপটি সেই ৫০টির একটি।