
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় জড়িত শ্যুটার ও তার সহযোগী ভারতের পালিয়ে গেছেন। গত ১২ ডিসেম্বর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তারা। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এমনটি দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
ফেসবুক পোস্টে সায়ের বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরবাইকচালক আলমগীর হোসেন ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরো কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
জুলকারনাইনের দাবি, ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
সাংবাদিক সায়ের দাবি করেন, এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছে ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় সে কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হয়, তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে ২০২৫ রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকা হতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ২৯ জুলাই ২০২৫ সাজ্জাদ সুপ্রীম কোর্ট হতে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারামুক্ত হয়েছেন। অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যেসব অস্ত্রধারী ক্যাডারদের বিভিন্ন মামলায় জামিন প্রদান করা হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।’
তবে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে পালিয়ে গেছেন কিনা, এমন তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই। আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
তালেবুর বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত করে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে পুলিশ। মোটরসাইকেলটির নাম্বার প্লেটের সূত্র ধরে মধ্যরাতে হান্নাকে পল্টন থানা পুলিশ আটক করে। তবে হাদিকে গুলির মিশনে অংশ নেওয়া দুই অপরাধী এখনও অধরা।
তারা বিদেশে পালিয়ে গেছে কিনা? এমন তথ্যও নেই পুলিশের কাছে।