
রাইজিংসিলেট- বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ এখনো মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ, আর অনেক ক্ষেত্রেই হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর কিছু সংকেত পাঠিয়ে দেয়। সমস্যা হলো- এই ইঙ্গিতগুলো অনেকেই গুরুত্ব দেন না। সামান্য সচেতনতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত জীবন বাঁচাতে পারে। সম্প্রতি কার্ডিওলজিস্ট ডা. অলোক চোপড়া তাঁর সামাজিক মাধ্যমে হার্টের বিপদের আগে দেখা দেওয়া পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক সংকেত তুলে ধরেছেন।
১) বুকের অস্বস্তি বা চাপ লাগা- হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হলো বুকব্যথা। সাধারণত বুকের মাঝামাঝি অংশে ভারী লাগা, চাপ, জ্বালা বা টান ধরার অনুভূতি দেখা দেয়। এই অস্বস্তি কখনও গলা, চোয়াল কিংবা হাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ব্যথা আসা-যাওয়া করলেও এটিকে উপেক্ষা করা বিপজ্জনক- এটি ধমনী ব্লক হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
২) স্বল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট- সিঁড়ি ওঠা বা দ্রুত হাঁটার সময় হঠাৎ শ্বাস নিতে কষ্ট হলে সতর্ক হওয়া উচিত। পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে বিশ্রামে কমে গেলে তা হার্টে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে।
৩) পা বা গোড়ালি ফুলে যাওয়া- পায়ের পেছন দিক, গোড়ালি বা নিচের অংশে হঠাৎ ফোলা দেখা দিলে তা শরীরে তরল জমে থাকার লক্ষণ হতে পারে। হার্ট ঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে না পারলে এমন উপসর্গ দেখা দেয়, যা ভবিষ্যতে হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৪) অস্বাভাবিকভাবে দুর্বল লাগা- হঠাৎ অতিরিক্ত ক্লান্তি বা শক্তি কমে যাওয়ার অনুভূতি হৃদযন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার একটি সংকেত। দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ দুর্বল মনে হলে তা হার্টের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
৫) মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া- হঠাৎ মাথা হালকা লাগা, ভারসাম্য হারানো বা জ্ঞান হারানোর মতো ঘটনা হার্টের রিদম–সংক্রান্ত সমস্যার ফলেও হতে পারে। দ্রুত হৃদস্পন্দনও উপেক্ষা করার মতো বিষয় নয় এগুলো কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাকের পূর্বসূচনা।
কেন এসব লক্ষণ উপেক্ষা করা যাবে না?
হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ দেখা দিলেও তার আগের ছোট ইঙ্গিতগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসবের যেকোনো একটি উপসর্গ থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সঠিক জীবনযাপন এবং দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াই হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়।