ঢাকামঙ্গলবার , ১১ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ১১, ২০২৫ ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

শাল্লা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। অবকাঠামো ও বাহিরের পরিবেশ দেখতে সুন্দর হলেও হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

৫০ শয্যার হাসপাতালে ১৪০ জন লোকবলের মধ্যে ৫৯টি পদ শূন্য। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এই এলাকায় থাকতে চান না কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি- এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। যেখানে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা সেখানে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৩ জন। এরমধ্যে ১জন ডাক্তার ডেপুটেশনে শাল্লার বাহিরে কাজ করছেন। রয়েছে নার্সেরও সংকট।

এক্সরে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাফী যন্ত্রপাতি থাকলেও জনবলের অভাবে এগুলো চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নানান সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসে পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তাই বাধ্য হয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ব্যয় করে জেলা বা বিভাগের অন্যান্য হসপিটালে যেতে হয়।

স্বাস্থ্য সেবায় শাল্লার লাখো মানুষের ভোগান্তির কোনো অন্ত নেই। বর্তমান সরকারের কাছে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিতের অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।

শাল্লা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবব্রত আইচ মজুমদার জানান, আমাদের এখানে ১৪০ জনের লোকের মধ্যে ৮১ জন কর্মরত। বিশেষ করে ডাক্তার ১২ জনের পোস্ট কিন্তু রয়েছে ৩ জন। এরমধ্যে ১ জন শাল্লার বাহিরে এ্যাটাচমেন্টে আছে। বর্তমানে ২জন ডাক্তার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।

এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফী মেশিন আছে কিন্তু টেকনিশিয়ান নাই যার ফলে চালু করা যাচ্ছে না। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লোকবল সংকটের চাহিদা পত্র প্রেরণ করেছি। আশাকরি দ্রুত এর সমাধান পাওয়া যাবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ডাক্তারের সংকট রয়েছে বিশেষ করে শাল্লায় ডাক্তার থাকতে একটু অনীহা প্রকাশ করে। ডিসেম্বরে ৪৮তম বিসিএস থেকে ডাক্তার পাওয়া যাবে। অন্যান্য পোস্টেরও লোকবল সংকট সারা সিলেট বিভাগে। আমাদের ডিজি (মহাপরিচালক) স্যারের সাথে কথা হয়েছে। এসব নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

চিকিৎসা নিতে আসা মনুয়া গ্রামের এক রোগীর সন্তান জানান, আমার মাকে নিয়ে মেডিক্যালে এসে একমাত্র ডা. রাজিব সাহেবকে পেয়েছি। উনি খুব আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে বলছেন এক্সরে করার জন্য। শাল্লা হসপিটালে এক্সরে মেশিন আছে কিন্তু টেকনিশিয়ানের অভাবে করা যাচ্ছে না। এক্সরে করার জন্য এখন আমাদের যেতে হবে বহুদূর। একটা উপজেলা লেভেলে লক্ষ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র সরকারি হসপিটাল এভাবে চলতে পারেনা। আমাদের স্বাস্থ্য সেবার সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন।

বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মেডিক্যালে ভর্তিকৃত রোগীরা জানান, এখন কাজের সময় রোগী নিয়া আইছি কোনো ডাক্তর ঠিকমত পাই না। একজন ডাক্তর নিচে দেইখ্যা কাগজ দিছে কাগজ দেইক্কা নার্স স্যালাইন ও ওষুধ দিছে। আরও কিছু ওষুধ বাজার থাইক্যা কিন্যা আনছি। পরীক্ষা দিছে করবার লাগি হাসপাতালে পরীক্ষাও অয় না। অখন যাওন লাগব সুনামগঞ্জ না অইলে সিলেট। ডাক্তার ছাড়া ইতা হাসপাতাল থাকন থাইক্যা না থাকনই ভালা এমনই মন্তব্য রোগী ও স্বজনরা।

জানতে চাইলে জেলার সিভিল সার্জন জসীম উদ্দিনকে একাধিক বার কল দিলেও নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাজিব বিশ্বাস বলেন, ৫০ শয্যা মেডিক্যালে ডাক্তার ১২ জনের মধ্যে আমরা ২জনে কাজ করছি। আমরা ২৪ ঘন্টা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। শুধু তাই নয় অন্যান্য সেক্টরে জনবল না থাকায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। মেডিক্যালের সার্বিক বিষয়ে মিটিংয়ে স্যারদের সাথে কথা বলা হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।