
দুর্গাপুরে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে নারী ও শিশুসহ আটজনের বিষপানের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে তিনজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এনং তিনজন দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
মৃত দুই নারীর নাম জান্নাতুন (২৫) ও তহমিনা (৩০) বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে জান্নাতুন উপজেলার পাইকড়তলী ও তহমিনা (৩০) উপজেলার তেবিলা গ্রামের বাসিন্দা। জান্নাতুন শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে ও শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তহমিনা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় দুর্গপুর থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শনিবার (১ মার্চ) পর্যন্ত রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘটনাগুলো ঘটে।
বিষপান করা অন্যরা হলেন- দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর গ্রামের ময়না বিবি (৪৫), বেড়া গ্রামের রেজাউলের শিশু সন্তান তানজিমুল (৩), কানপাড়া গ্রামের বিথি (৩০), দেবীপুর গ্রামের মহনা (১৮), পানানগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৪৫) ও কাশেমপুর গ্রামের ইরিন খাতুন (২০)।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম আলী জানান, কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা ও মৃত্যুর ঘটনায় থানায় দুটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। বিষয়গুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কীটনাশক পান করা রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। কয়েকজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারীর মৃত্যু হয়। এখনও তিনজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে, তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান জানান, কীটনাশক পান করে ৪৮ ঘণ্টায় ৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুনেছি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া তিনজন সুস্থ আছেন।