ঢাকাসোমবার , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রবাসী আব্দুল মোক্তাদির এর পৈত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ

rising sylhet
rising sylhet
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩ ৬:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী প্রবাসীদের পৈত্তিক সম্পত্তি জবরদখল করে নিজেদের বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি মহল। সম্প্রতি ভূমি খেকোদের পক্ষে দক্ষিণ সুরমার তেঁতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর গ্রামের মমতা বেগম সাফাই গেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বানোয়াট, মনগড়া তথ্য ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করান। প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে সংবাদমাধ্যম, রাজনৈতিক মহল ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করতে তাদের এমন বৃথা প্রয়াস। সংবাদ সম্মেলন কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় আব্দুল মোক্তাদির তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদে তিনি বলেন, দক্ষিণ সুরমার তেঁতলী ইউনিয়নের ধরাধর পুর গ্রামের সওদাগর বাড়ি ও নগরীর সুরমা মার্কেটে অবস্থি দোকান কোটার মালিক মো. মাসুক মিয়া। দলিল নং- (দোকান) ৩০২০/২০০৩), (বাড়ি) জেএল নং- ৮, খতিয়ান ৫০, দাগ ৮০৩৮। তিনি আমার শ্বশুর ও আপন চাচা। তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী সূত্রে পৈত্তিক সম্পত্তির মালিক হন আমার স্ত্রী শাহিনা খাতুন ও তার ভাইবোনরা। এবং আমি আব্দুল মোক্তাদির উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া সিলেট জেলা দক্ষিণ সুরমা থানার ধরাধর পুর মৌজার জেএল নং- ০৮, খতিয়ান ৪৮, দাগ নং- ৭৯২/৭৯৮/৫৯৯/৮০৩/৮০৪/৮৩৮ হইতে ৫৭ শতক ভূমির মালিক আমি নিজে। একটি ভূমি খেকো চক্র তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি গ্রাস করতে জাল দলিল মূলে মালিক সেজে প্রকৃত ভূমি মালিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে না আসতে চক্রান্ত করছে। দেশে আসা মাত্র তাদেরকে পুলিশে ধরবে বলে কুচক্রী মহল প্রচার করছে। আব্দুল মোক্তাদির অভিযোগ করে জানান সুরমা মার্কেটের ২নং রোডের নিচ উপর পাশাপাশি ৯টি দোকানকোটা ও বাড়ির সম্পত্তির মালিক মো. মাসুক মিয়া মারা যাওয়ার পর পৈত্তিক সূত্রে মালিক হন তার সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহিনা খাতুন ও তার ভাইবোনরা। দীর্ঘ কয়েক বছর দোকান কোটার ভাড়া পেয়ে থাকলেও সম্প্রতি তাদের মনোনীত ভাড়া আদায়কারী শাহীনুজ্জামান শাহীনকে ভাড়া উত্তোলন না করতে মোবাইল মাধ্যমসহ নানা ভাবে প্রাণনাশের হুঁমকি দেয়া হয়। এক পর্যায় ভূমি খেকোরা সব দোকানকোটা তাদের দখলে নেয়। বিষয়টি উল্লেখ করে ভূমি মালিকদের পক্ষে শাহীন জীবননাশের শঙ্কায় দক্ষিণ সুরমা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন (জিডি নং- ৫৯৭/২০২৩)। অভিযোগে শাহীনুজ্জামান শাহীন গত ৩০ আগস্ট মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার নোওদা সাদেকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হক চৌধুরীর ছেলে সুফের আহমদ চৌধুরী, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার ও বর্তমান কোতোয়ালী থানার সুরমা মার্কেটের বাসিন্দা কুনু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবীর, আলী আকবরের ছেলে আবু তাহের ও দক্ষিণ সুরমা থানার তেঁতলী ইউনিয়নের ধরাধর পুর গ্রামের মৃত হাজী আনা মিয়ার ছেলে আব্দুল হাই পারভেজ এবং আব্দুল কাদির জাহেদকে বিবাদী করেন। শাহীনের অভিযোগের পর সম্প্রতি ভূমি খেকোদের পক্ষে সাফাই গেয়ে মমতা বেগমসহ কয়েকজন বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বানোয়াট, মনগড়া তথ্য ও জাল কাগজপত্র দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করান। অবৈধ দখলকারীরা গণমাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় ওইসব সম্পত্তি তাদের বলে প্রচার করছে। সরজমিন সুরমা মার্কেটের দোকান পরিদর্শনকালে দোকানের বর্তমান ব্যবসায়ীরা প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তারা ব্যবসা করে আসছেন। তারা পূর্বে দোকানকোটার ভূমি মালিক মাসুক মিয়ার মনোনীত ব্যক্তিবর্গের কাছে ভাড়া প্রতিমাসে পরিশোধ করতেন। এখন আরেকটি পক্ষ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভাড়া আদায় করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পরেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহীনা খাতুন ফোনকলের মাধ্যমে বলেন, প্রবাসে থাকায় আমাদের বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দখল করে চলেছে একটি ভূমি খেকো চক্র। তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা এবং সম্পত্তি রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সাহায্য এবং সহযোগিতা কামনা করেছেন। ভূমি মালিক শাহিনা খাতুনের স্বামী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মোক্তাদির বর্তমানে তার শ্বশুরের সম্পত্তি দেখাশোনা করে আসছেন। তিনি প্রতিবেদককে ফোনে জানান, আমি যুক্তরাজ্য থাকাবস্থায় ভূমি খেকো চক্র আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে যাতে আমি বাংলাদেশে না আসতে পারি। তিনি আরো বলেন, শাহিনা খাতুন আমার স্ত্রী ও আপন চাচাতো বোন। সখ করে একটি মোটরসাইকেল কিনে ভাগ্নাকে দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাই। আমার বড়ভাই আব্দুল খালিক ও তার ছেলেকে দিয়ে ধরাধর পুর বাড়িতে পাঠাই। সেই মোটরসাইকেল চোরাই বলে নিজের বাড়িতে রাখতে দিচ্ছেনা আব্দুল হাই পারভেজ এবং আব্দুল কাদির জাহেদের নির্দেশে শফের আহমদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী মমতা বেগম। এবং তাদের নির্দেশে আমাদের ঘর ভাংচুর করে আমার শ্বাশুড়ির স্বর্ণালঙ্কার সহ মূল্যবান জিনিষপত্র লোটপাট করে। বিষয়টি থানাকে অবগত করা হয়েছে। সরকারের প্রতি আস্তা রেখে তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতিতে আমরা প্রবাসীরা রেমিটেন্সের মাধ্যমে অবদান রাখছি। সরকার আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা বলে আখ্যায়িত করেছে। দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকায় ভূমি খেকোদের চোখ প্রবাসীদের পৈত্তিক সম্পত্তির ওপর পড়েছে। আমরা প্রবাসীদের ভিটেমাটিসহ সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সম্প্রতি বাংলাদেশের সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল ২০২৩’ পাস হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ‘দলিল যার, ভূমি তার’। এই আইন করায় সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানাই। সে হিসেবে আশাবাদী, সরকার ন্যায়ের পক্ষে থেকে প্রবাসীদের পৈত্তিক সম্পত্তি রক্ষায় সহযোগীতা করবে।

৬৭৭ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।