ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২ নভেম্বর ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হবিগঞ্জে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্পে অনিয়ম- নাস্তার বরাদ্দেও ভাগ

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ২, ২০২৩ ১২:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

রাইজিংসিলেট- হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের জন্য নাস্তার বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য এবং প্রকল্পের জেন্ডার প্রমোটর, কো-অর্ডিনেটরদের জানা যায়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে হবিগঞ্জের মাধবপুরের ১১টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় একটি করে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের আবৃতি ও সংগীত শেখানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ক্লাবের সদস্যদের নাস্তার জন্য শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাবে ৩০ জনের জন্য ৩০ টাকা করে নাস্তার বরাদ্দ দেয়া হলেও ২০ টাকার নাস্তা সরবরাহ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকলে তাদের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বছরে দুইটি সভার জন্য বরাদ্দ থাকলেও তা করা হয়নি।

এছাড়াও, কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মহিলা ইউপি সদস্যদের সম্মানীর টাকাও ঠিকমতো দেওয়া হয়নি। আর এসব অভিযোগ বেশিরভাগই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পিয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে। এছাড়া সরেজমিনে কয়েকটি ক্লাব পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় উপস্থিতির হারও খুব কম।

প্রতিটি কেন্দ্রে নাস্তা সরবরাহ করেন প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত জেন্ডার প্রমোটররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেন্ডার প্রমোটর জানান, প্রতিদিন ৩০ জনের জন্য ৩০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাদেরকে অফিস থেকে ২০ টাকা করে দেয়া হয়েছে। সে জন্য কম মূল্যের খাবার সরবরাহ করেছেন তারা। জেন্ডার প্রমোটর বলেন,‘‘প্রতিদিন আমাকে একটি করে কেন্দ্রে যেতে হয়। তার জন্য ভাড়া বাবদ আমাকে কোন টাকা দেওয়া হয় না। ভাড়া বাবদও তো কিছু টাকা লাগে।”

প্রতিটি ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর হচ্ছে একজন নারী ইউ/পি সদস্য। তাদের সম্মানী হিসেবে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু ইউপি সদস্যদেরকে দেওয়া হয়েছে মোট ৬ হাজার টাকা। ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর চৌমুহনী ইউ/পি সদস্য রত্না আক্তার জানান, এ পর্যন্ত ৬ হাজার টাকা পেয়েছি আর কোন টাকা পাইনি। যোগাযোগ করা হলে বলে টাকা আসলে পাবেন।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাধবপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পিয়ারা বেগম বলেন, ‘উপস্থিতির হার অনুযায়ী সবাইকে নাস্তা এবং সম্মানী বিতরণ করি। নাস্তার খরচ প্রত্যেককে ২০ টাকা দেওয়া হয়েছে আর ১০ টাকা করে রেখে ভ্যাট এবং হিসাব রক্ষণ অফিসের খরচ বাবদ দেওয়া হয়। ১০ টাকা না রাখলে ভ্যাট আর হিসাবরক্ষণ অফিসের খরচ কই থেকে দিমু? অন্যান্য আরও খরচ আছে। সেই টাকা কি আমার পকেট থেকে দিবো নাকি প্রকল্প থেকে দিবো? কো-অর্ডিনেটরদের ভাতা করোনাকালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে । একবার তাদের ভাতা পেয়েছি বিতরণও করেছি।

মাধবপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আমাদের অফিসে বিল তুলতে কোন রকম টাকা লাগে না। আমাদের অফিসে কিশোর কিশোরী ক্লাবের নাস্তার বরাদ্দের টাকা থেকে টাকা কেটে রাখার অভিযোগ মিথ্যা। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।