রাইজিংসিলেট- আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ (লোহাগড়া-নড়াইল) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ১৮ জন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত নড়াইলের ২ টি আসনে মোট ২৪ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
নড়াইল-২ আসন থেকে সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বর্তমান সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তার পক্ষে ফরম সংগ্রহ করেন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস।
মাশরাফির নির্বাচনী আসনে (নড়াইল-২) মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম আসিফুর রহমান বাপ্পী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামউদ্দীন খান নীলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল বাশার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী লে. কমান্ডার (অব.) এ এম আব্দুল্লাহ, নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শরীফ খসরুজ্জামানের মেয়ে শামীমা সুলতানা, সাবেক লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম, অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমুর ভাই মো. হাবিবুর রহমান, উদ্ভিদবিজ্ঞানী কাজী জাহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার রেজাউর রহমানের মেয়ে ফারহানা রেজা, আমেরিকা প্রবাসী মো. জসিম উদ্দীন, মো. নূর ইসলাম, সৈয়দ আইয়ুব আলী, মো. মনির হুসাইন, নজরুল মুন্সি (সাবেক আই জি আর) ও পলাশ হাজরা।
বর্তমানে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করাকে কেন্দ্র করে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কোন কোন নেতা শেখ হাসিনার কাছে নিজের সমর্থন বাড়াতে পক্ষের লোকদের দিয়ে মনোনয়ন কেনাচ্ছেন বলে চলছে নানা জল্পনা। কয়েকজন বাদে বাকিরা এলাকায় অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত। ভোটারদের ধারণা এসব নেতা মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নয়, এলাকায় পরিচিত হতে বা আলোচনায় আসতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরা নির্বাচন করতে আসেনি।
অন্যদিকে নড়াইল-১ (কালিয়া-নড়াইল) আসনে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ৬ জন। বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম কবিরুল হক মুক্তি ছাড়া ও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামউদ্দীন খান নীলু, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী সরোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য চৈতি রানি বিশ্বাস, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ ও নড়াগাঁতি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী মফিজুর রাহমান।
মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তারা। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই তারা কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।