নিজেদের বসতঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক সন্তানের জননী ও এক কলেজ ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের বিন্যাখালী গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আব্দুর জব্বারের ছোটপুত্র ও সিলেট জালালাবাদ স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির মিয়া (২৩) । এবং একইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটায় উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের শিবপাশা কান্দিপাড়ের মোস্তাকিন মিয়ার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জননী রুপসা আক্তার (২৫) নিজেদের স্ব স্ব ঘরের বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,শিবপাশা ইউনিয়নের কান্দিপাড়ের বাসিন্দা মোস্তকিন মিয়ার স্ত্রী রুপসা আক্তারের সাথে ঢাকায় কর্মরত স্বামী মোস্তাকিনের মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটি হয়। এরই জের ধরে অভিমানে সন্ধ্যা প্রায় সাতটার দিকে পরিবারের সকলের অগোচরে নিজের বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেন রুপসা। কিছুক্ষণ পর রুপসার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে শোর চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমগীর কবির সহ একদল পুলিশ ঘঠণাস্থলে গিয়ে রুপসা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
অপরদিকে সাব্বির লেখাপড়ার সুত্রে সিলেট বসবাস করতো। সপ্তাহ খানেক পুর্বে সে বাড়িতে আসে। সোমবার বিকালে মায়ের কাছে ত্রিশ হাজার টাকা চায় সাব্বির। তার মা টাকা পরে দিবে জানালে সন্ধ্যায় অভিমান করে সবার অগোচরে নিজের বসত ঘরের আড়ার সাথে কাপড় দিয়া গলায় ফাঁস দেয় সাব্বির। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের নজরে আসলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পুলিশকে অবগত করা হয়। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সালাম ঘঠণাস্থলে গিয়ে সাব্বিরের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ ঘঠনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাব্বিরে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া নেয়ার জন্য পরিবারের লোকজন আবেদন করেছেন। আর রুপসা আক্তরের মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।