দানি আলভেজকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে স্পেনের আদালত ।
২০২২ সালের ৩০শে ডিসেম্বর বার্সেলোনার সাটন নৈশক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আলভেজের বিরুদ্ধে। চলতি মাসের শুরুতে তার বিচার শুরু হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, নৈশক্লাবে বাথরুমে আলভেজ জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। ছেড়ে দেয়ার জন্য আলভেজকে বারবার অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
তার আইনজীবীর মতে, ভিক্টিম সে সময় যন্ত্রণাকাতর এবং ভীত হয়ে পড়েছিলেন।
নির্যাতনের শিকার সেই নারীর এক বন্ধু আদালতে বলেছেন, বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর ভিক্টিম অঝোরে কাঁদছিলেন এবং বলেছেন আলভেজ তাকে সত্যিই আঘাত করেছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা আদালতকে বলেছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর ভিক্টিম নারীকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত দেখতে পান। সেই নারীর দুশ্চিন্তা ছিল, তার অভিযোগ কেউ বিশ্বাস করবে না।
ধর্ষণের অভিযোগে আলভেজ গ্রেপ্তার হওয়ার পরই তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তার সবশেষ ক্লাব ইউনিভার্সিদাদ নাসিওনাল। আলভেজের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন তার স্ত্রী জোয়ানা স্যাঞ্জ। এরপর নাকি কারাগারে আত্মহত্যার চিন্তাও করেছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। এমনটিই দাবি তুলেছেন, কারাগারে আলভেজের সঙ্গেই সাজা খাটতে থাকা আরেক কয়েদি। স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল ‘টেলিসিনকো’র অনুষ্ঠান ‘ফিয়েস্তা’কে সেই কয়েদি জানান, আলভেজ আত্মহত্যা করতে পারেন, এই শঙ্কা থেকে তার জন্য ‘অ্যান্টি সুইসাইড প্রটোকল’ চালু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
২০২৩ সালের শুরুতে স্পেনের একটি থানায় দানি আলভেজের নামে মামলা করেন ভুক্তভোগী সেই নারী। শুরুতে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা। এরপর আলভেজ দাবি করেন, ভিক্টিমের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্কে জড়ান তিনি। তবে আলভেজের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আজ বার্সেলোনার আদালতের রায়ে বলা হয়, ‘ভুক্তভোগীর সম্মতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদীর করা ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’ কারাবাসের সঙ্গে ভুক্তভোগীকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো দেয়ার জন্য আলভেজকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।