রাইজিংসিলেট- পুরো রমজানই রহমত-বরকতের মাস। রোজাদার ব্যক্তির সবচে বড় পাওয়া হলো-আল্লাহর কাছে চাওয়া তার দোয়া কবুল করা হয়। নবী (সা.) বলেন, ‘সিয়াম পালনকারীর দোয়া ফেরত দেয়া হয় না।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৩/৭)।
হাদিসে দোয়াকে ইবাদতের মগজ বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালার কাছে যে চায় না, আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হন।’ (তিরমিজি, ৩৩৭৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। ১. রোজাদারের দোয়া ইফতার করা পর্যন্ত। ২. ন্যায়পরায়ণ বাদশার দোয়া ও ৩. মজলুমের দোয়া।’ (বাইহাকি, ৩/৩৪৫)
রোজাদারের জন্য ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় দোয়া কবুল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিশেষ করে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মানুষ ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর ও ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। তাই সে সময় দোয়া কবুলের সম্ভাবনা আরও বেশি। হাদিসে এসেছে, ‘ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য এমন একটি দোয়া রয়েছে, যা ফিরিয়ে দেয়া হয় না।’ (ইবনে মাজাহ, ১৭৫৩)
ইফতারের সময়ও খুবই গুরুত্বসহকারে দোয়া করা উচিত। এটি দোয়া কবুলের সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ রমজান মাসে প্রতি ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। প্রতি রাতেই তা হয়ে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ, ১৬৪৩) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ রমজান মাসের প্রতি দিবস ও রাতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন।’ (মুসনাদে আহমদ, ৭৪৫০)