
যুবকের কাছে নারী দোকানির পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের সময় বিচার করে প্রাণ গেছে এক ব্যক্তির। বিচারে যুবককে অভিযুক্ত করার জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এসময় আফরোজ মিয়া (৪৬) নামে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত আফরোজ মিয়া ওই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আফরোজ মিয়ার আরো তিন ভাই। তারা হলেন- আসকির মিয়া (৫০), তাজুল ইসলাম (৩৮) ও নাসির মিয়া (২৭)। তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গনকিরপাড় গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, তাজুল মিয়ার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে তার ঘরে ঢিল ছুড়ে অভিযুক্ত রতনসহ তার লোকজন। এরপর বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। একপর্যায়ে রতনদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন আফরোজ মিয়া। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
চুনারুঘাট থানার (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।
জানা যায়, শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে গনকিরপাড় গ্রামের রতন মিয়া স্থানীয় শিরিনা আক্তার নামে এক নারীর দোকান থেকে বাকিতে ২০০ টাকার সদাই করেন। পরদিন বিকেলে পাওনা টাকা চান দোকানদার শিরিনা আক্তার। ওই সময় টাকা পরিশোধ করতে অনীহা প্রকাশ করেন রতন মিয়া।
এ নিয়ে শিরিনা ও রতনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে শিরিনার দোকানে ভাঙচুর চালান রতন। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আফরোজ মিয়ার ভাই তাজুল মিয়া। তিনি রতনকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে শিরিনার টাকা পরিশোধ করতে বলেন। এসময় তাদের মধ্যেও বাকবিতন্ডা হয়।
পরে শনিবার সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের মুরুব্বিরা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন এবং ২০০ টাকা দোকানদার শিরিনাকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।