অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য অনুতপ্ত হয়ে সবার কাছে ক্ষমা চান রেস্টুরেন্টির মালিক যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন।
বড়লেখা পৌর শহরের জিম্মি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টার অবশেষে খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে রেস্টুরেন্টির তালা খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় বড়লেখা পৌরশহরের সাফরান রেস্টুরেন্টে ঘটনাটি সমাধানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য অনুতপ্ত হয়ে সবার কাছে ক্ষমা চান রেস্টুরেন্টির মালিক যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন।
সভায় জিম্মি রেস্টুরেন্টের মালিক জসিম উদ্দিন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য সবার কাছে নি:শর্তভাবে ক্ষমা চান। পাশাপাশি বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখতে সকলের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান। সভা শেষে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে বড়লেখা পৌরশহরের জিম্মি রেস্টুরেন্টের তালা খুলে দেওয়া হয়।
গত ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) বিয়ানীবাজার সরকারি ডিগ্রি কলেজ জামে মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মশাহীদ আহমদ আলতাফ ধর্মীয় উগ্রবাদবিরোধী আলোচনা করছিলেন। এসময় জিম্মি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারের মালিক যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন তাকে বাধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ঘটনাটি বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই ঘটনায় জিম্মি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টার বয়কটের ডাক দেন স্থানীয় মুসলি জনতা।
একপর্যায়ে বড়লেখা পৌর শহরের জিম্মি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টার ও বিয়ানীবাজারের জিম্মি রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেন বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতা। পরে অবশ্য এক ভিডিও বার্তায় নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে সবার কাছে ক্ষমা চান রেস্টুরেন্ট মালিক জসিম উদ্দিন।
এদিকে ঘটনাটি সমাধানের লক্ষ্যে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বড়লেখা পৌরশহরের সাফরান রেস্টুরেন্টে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক হাজী আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিস বড়লেখা উপজেলা সভাপতি মাওলানা কাজী এনামুল হক, বড়লেখা প্রেসক্লাবের সভাপতি বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, মুরাদগঞ্জ মাদ্রাসার মুহতামীম মাওলানা আতিকুর রহমান, বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা রুহুল আমীন, মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী ফয়জুর রহমান, বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব হাজী মউর উদ্দিন, জিম্মি রেস্টুরেন্টে মালিকের শ্বশুর হাজী মতিউর রহমান পাখি, সাপ্তাহিক বড়লেখা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এম. এম আতিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল সহিদ খান, জামায়াত নেতা সোহেল আহমদ, সাবেক মেম্বার মঈন উদ্দিন, মুফতী আব্দুল করিম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবিদুর রহমান, ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য হারুনুর রশীদ, আব্দুল হাসিব, আব্দুর রহমান মানিক, শামীম আহমদ, জুনেদ আহমদ প্রমুখ।
