ঢাকাবুধবার , ১ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অত্যাচার নি র্যা ত ন চালিয়ে আফতার উদ্দিন হয়েছেন কোটিপতি

rising sylhet
rising sylhet
জানুয়ারি ১, ২০২৫ ৬:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যুবসংহতির থেকে আওয়ামীলীগ পরিবারে বিয়ে করে ছাতকের আওয়ামী লীগের কালারুকা ইউপির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। এরপর নিয়ন্ত্রণ নেন পুরো উপজেলার পিআইও অফিসসহ ও থানার দালালি, চাদাবাজি, গ্রাম্য শালিসের নামে জামানতে টাকা আত্মসাত, হামলা মামলা, নানা অপরাধম লক কর্মকান্ড, অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে গোটা এলাকাবাসি “আফতাব বাহিনীর হাতে জিন্মি”, মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে পাড়া মহল্লাবাসিকে জিন্মি করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে প্রতি মাসে উপজেলার কালারুকা ইউপির রাজাপুর, হাসনাবাদ, খাইরগাও, আকুপুরসহ ২০টি গ্রামের আলেম-বিএনপির কর্মীদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করে এখন তিনি হয়েছেন কোটিপতি। এ অবৈধ টাকার ভাগ পেতো সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, উপজেলার উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারাও।

সম্পাদক আফতার উদ্দিনের ক্ষমতার দাপট কমেনি। আবারো ও হামলা মামলা দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কালারুকা ইউপির রাজাপুর (মাঝপাড়া) গত ৩ডিসেম্বর সকালে আফতাব বাহিনীর ক্যাডার আরফাত আলীর নেতৃত্বে গ্রামের কৃষক আব্দুল হকের কাছে গিয়ে চাদার দাবি করে। এ সময় তাদের কথামতো চাদায় না দেয়ায় কথা-কাটাকাটি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দুই ঘন্টা ব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা থেকে সেনা-বাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। এঘটনায় আব্দুল হক বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আফতাব উদ্দিন প্রধান আসামী করে ১৫জনের নাম উল্লেখ্য করে গত ৯ ডিসেম্বর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এমামলা দায়ের পর আওয়ামীলীগ নেতা আফতাব উদ্দিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। এসব হামলা ভাংচুর লুটপাটের এ ঘটনাটি বিভিন্নখাতে নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আফতাব উদ্দিন তার আপন ভাতিজা সেলিম আহমদ বাদী হয়ে গ্রামে শালিস ব্যক্তি নুরউদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ২৯জনের নামে গত ১৫ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের জুডিসিয়াল আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়ের ঘটনায় নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

যে কোনো সময় সংষঘের আশাংকা রয়েছে। সে উপজেলার কালারুকা ইউপির আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও রাজাপুর গ্রামের হাজী ফখর উদ্দিনের পুত্র আফতার উদ্দিন। তার বিয়ে আগে যুবসংহতির নেতা ছিলেন। একই উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির আমেরতল গ্রামে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদের বোনকে বিয়ে করার পর থেকে আওয়ামীলীগের নেতা হিসাব পরিচিত হয়ে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ছাতক উপজেলার সংবাদাতা ওমর ফারুক চান মিয়ার প্রায় কোটি টাকার জমি সরকার দলীয় ক্ষমতার দেখিয়ে গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের রাজাপুর বাজারস্থল শংকরপুর মৌজার ২৩ শতক জায়গা দখল করেন। এঘটনায় প্রতিবাদ করতে হামলা মামলার শিকার হয়েেেছন সংবাদকর্মী মৃত চান মিয়া। এসব ঘটনার পর থেকে আফতাব উদ্দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সাবেক ক্ষমতাসীনদল এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের চাচাতো বোনের জামাই আওয়ামীলীগের নেতা সেজে নানা প্রতারনা চালিয়েছে। তার দলীয় পদ-পদবীকে প্রভাব ও ক্ষমতা দেখিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জঙ্গিবাদ দোহাই দিয়ে স্থানীয় আলেম ওপর হামলা মামলা দিয়ে সমালোচনায় মধ্যে চলে আসেন আফতাব উদ্দিন।

তার নেতৃত্বে জামায়াত, বিএনপি, হেফাজত ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা নামে মামলা টুকিয়ে ইচ্ছামতো চাঁদাবাজি, কাবিখা, টিআর, টেন্ডারবাজি, অপহরণ, শিক্ষক লাঞ্ছনা, টিসিবি ডিলার নিয়ে গ্রাহকদের কাছে মালামাল না দিয়ে চোরাই পথে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। দালালি, নানা অপরাধ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে গ্রামসহ এলাকাবাসি জন সাধারন তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে সুরমা নদী কালারুকা এলাকায় ব্যাপক চাদাবাজি, গ্রাম্য শালিসের জামানতের টাকা আত্মসাত, শতাধিক গরীবদেরকে সরকারী নলকুল দেয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ৩ডিসেম্বর গ্রামবাসীর ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে আফতাব বাহি- নীর লোকজন। এ সময় প্রামবাসীদের, রামদা দা লোহার রড ও লাঠিশোটা দিয়ে পিটিয়ে

রক্তাক্ত করেছে ৫০ জনকে আহত করা হয়। তার নিজ গ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি, জায়গা দখল- বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ারও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আফতাব উদ্দিন আত্মগোপনে থেকে নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন নিরবে। এ ঘটনার ১৬ দিন অতিবাহিত হলে ও এখনো আওয়ামীলীগ নেতার আফতাব উদ্দিন গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা আফতার উদ্দিনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারি এস আই আশরাফুল আলম চৌধুরী এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করতে পারছেন না। তবে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

১০৩ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।