ঢাকাশনিবার , ১১ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রবাসী কথাসাহিত্যিক জাস্টিজ আয়েশা আহমদ’র সংবর্ধনায়

rising sylhet
rising sylhet
জানুয়ারি ১১, ২০২৫ ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রবাসে বসে যারা সাহিত্য রচনা করে, তার পাঠক সমীপে উপস্থাপনের মাধ্যমে বাংলা ভাষার সাহিত্যকে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেন এবং বৈদেশিক রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিকে গতিশীল করেন। তারা দেশ মাতৃকার অমৃত সন্তান। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই আমাদের উচিত দেশে মাতৃকার এই অমৃত সন্তানদের যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের স্ব-সম্মানে প্রতিষ্ঠিত করা।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের কনফারেন্স হলে প্রবাসী কথাসাহিত্যিক জাস্টিজ আয়েশা আহমদ-এর সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন — সিলেটের সবচেয়ে বড় মোবাইল ছিনতাইকারী চক্রের গঢফাদার আব্দুস শহিদ

সোহাগ সাহিত্য গোষ্ঠির আয়োজনে সংবর্ধনা সভায় সংগঠনের উপদেষ্টা সৈয়দ রেজাউল এর সভাপতিত্বে পবিত্র কালাম থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ নোমান হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবির আহমদ চৌধুরী, আহমদ আল কবির, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের প্রতিনিধি দিদারুল আলম, সমাজসেবী ফরিদ উদ্দিন, সাহিত্যিক মতিউর রহমান, কলামিস্ট আব্দুল হান্নান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. মোস্তফা আহমেদ মোস্তাক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কথা সাহিত্যিক আয়শা আহমেদ সাধারণ একজন মহিলা নন, তিনি শুধু ঘর কন্যা হয়েই জীবন কাটাননি। সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি চর্চায় অমর কথা সাহিত্য তৈরী করে নিজে কিংবদন্তি লেখক, ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডেইলি ট্রাইব্যুনালের ব্যুরো চীফ জামান চৌধুরী, হবিগঞ্জ শব্দ কথা প্রকাশনীর কর্ণধার মনসুর আহমদ, সাংস্কৃতিক পরিষদের আহবায়ক আখতারুজ্জামান সুমন, ড. শহিদুল ইসলাম, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জাহানারা খাতুন, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক ড. মীর শাহ আলম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, মানুষ মরে গেলেও তার সৃষ্টি কর্ম মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। কর্মই মানুষকে অমরত্মের দিকে নিয়ে যায়। আজকের সংবর্ধিত কথা সাহিত্যিক আয়েশা আহমেদ প্রবাসে বসে দেশ মাতৃকার কল্যাণে নাড়ির টানে যে সাহিত্যগুলো আমাদের জন্য রেখে যাচ্ছেন, পরবর্তী প্রজন্ম এটাকে নিয়ে শুধু গর্বই নয়, এসব নিয়ে গবেষণা করে তার হৃদয়ের গভীর মমত্বকে জনসম্মুখে তুলে ধরবে যুগের পর যুগ। সৃষ্টিকর্মে নিজেকে কিংবদন্তি করে তুলেছেন আয়শা আহমেদ। আয়েশা আহমেদ যতদিন এই বাংলা ভাষাবাসি মানুষ দেশ আর পতাকা থাকবে ঠিক ততদিন তার লেখনির জয়কথা মানুষের হৃদয়ের গভীরে চির জাগরুক হয়ে থাকবে।

তরুণ সাহিত্য কর্মী আব্দুস সামাদ এর সঞ্চালনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত অতিথিকে সুদৃশ্য ক্রেস্ট ঐতিহ্যবাহী শিতলপাটি, মনিপুরী শাড়ি, সংগঠনের উত্তরীয় প্রদান করা হয়। এরপর তার ১০টি প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সংবর্ধনার জবাবে আয়েশা আহমেদ বলেন, আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আমার লেখালেখির জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। এতো গুনীজন এত বড়-বড় লেখক বুদ্ধিজীবীদের ভিড়ে আমাকে খুবই গর্বিত মনে হচ্ছে। আমার জীবনের না পাওয়া যাতনা থেকে উত্তরণ হলো। আমার এই বয়সে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আপনাদের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দায় শেষ করতে চাই না। আপনারা আমার মনের মনিকুঠায় চিরদিন স্মরণিয় হয়ে থাকবেন।

কবি আয়েশা আহমেদ এর কবিতা গ্রন্থ থেকে আবৃত্তি করেন কবি ও বাচিক শিল্পী পপি রশিদ, শাম্মি নাজ সিদ্দিকী, কবি কোবাদ আহমদ চৌধুরী, শাহানা মমতাজ, আলেয়া রহমান, কামরুল হোসেন ও মনজুর হোসেন খান। পরে এক নৈশ্যভোজের আয়োজন করা হয়।

৭২ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।