ঢাকার মতো সিলেটেও রান বন্যা দেখেছে দর্শকরা। দেখেছে সেঞ্চুরি, ২০০+ স্কোরের একাধিক ইনিংস। এই পর্ব শেষে যথারীতি শীর্ষস্থানটা বরাদ্দ রংপুর রাইডার্সের জন্য। সাত ম্যাচে সাত জয়। আর সবার নিচে যথারীতি ঢাকা ক্যাপিটালস। টানা ছয় ম্যাচ হারার পর সপ্তম ম্যাচে প্রথম জয় পেয়েছে দলটি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের ৪৬ ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছে ২০টি ম্যাচ। ঢাকার প্রথম পর্বের আট ম্যাচের পর সিলেটের পর্বের ১২ ম্যাচের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পালা। নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেও গড়াবে ১২টি ম্যাচ।
সিলেট পর্ব শেষে বোলারদের মধ্যে সবার ওপরে আছেন তাসিকন আহমেদ। এক ম্যাচেই ৭ উইকেট শিকার করা এই তারকা পেসার ৬ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন। তাসকিনের ইকোনমি ৬.৭২। উইকেটে শিকারে শীর্ষ তিনজনই পেসার। খুলনা টাইগার্সের আবু হায়দার ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের তানজিম হাসান, দুজনই নিয়েছেন ১১টি করে উইকেট।
৯ উইকেট নিয়ে এরপরই আছেন দুই স্পিনার খুশদিল শাহ, মেহেদী হাসান ও ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা।
বোলিং তাসকিন ছাড়া আর কেউ ম্যাচে ৫ উইকেট পাননি। ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান, নাহিদ রানা ও আবু হায়দার।
ব্যাটারদের মধ্যে রানের হিসেবে সবার ওপরে আছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের জাকির হাসান। ৬ ম্যাচে ছয়বার ব্যাট করে জাকিরের রান ২৫১। তিনটি ফিফটি পাওয়া ব্যাটসম্যান ভালোই অবদান রেখেছেন দলের দুই জয়ে। ১৪৯.৪০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা জাকির মেরেছেন ১৪টি ছক্কা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিটাগং কিংসের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান উসমান খান জাকিরের চেয়ে ২ ম্যাচ কম খেলে মাত্র ২ রানে পিছিয়ে। উসমান ৪ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরিতে করেছেন ২৪৯ রান। ঢাকা ক্যাপিটালসের দুই সেঞ্চুরিয়ান তানজিদ হাসান (২৪৬) ও লিটন দাসও (২৪০) আছেন তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা না পাওয়া লিটন শেষ দুই ম্যাচেই করেছেন ১৯৮ রান ।ে ৭ ইনিংসে ২২৮ রান করে তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন রংপুর রাইডার্সের সাইফ হাসান। তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৮০ রানের।