প্রবাসী পিতা কর্তৃক প্রতারিত হয়ে মাকে নিয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক সন্তান।
লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেনর ঔরসজাত সন্তান রেদওয়ান হোসেনকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করায় বাধ্য হয়ে সন্তানের স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন সন্তান দাবিদার মামলার বাদি রেদওয়ান হোসেন।
প্রবাসী জাকির হোসেন (৬০) বিয়নীবাজারের দেউলগ্রামের মৃত মফুর আলীর ছেলে।
সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে জন্মদাতা পিতা লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেনর বিরুদ্ধে সিলেটের সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি স্বত্ত্ব মোকাদ্দমা (নং-২৯/২৫) মামলা দায়ের করেছেন শিবগঞ্জ সেনপাড়া এলাকার পুষ্পায়ন ৫৫নং বাসার বাসিন্দা রেদওয়ান হোসেন। মামলায় মোকাবিলা বিবাদী করা হয়েছে মহানগরীর শাহপরাণের পশ্চিম ভাটপাড়া এলাকার আমিনা আক্তারকে।
মামলায় রেদওয়ান হোসেন উল্লখ করেন, তিনি লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেনের ঔরসজাত পুত্র। ২০ বছর পূর্বে বাদি রেদওয়ানের মাতা আমিনা আক্তারের সাথে ৬ লাখ টাকা দেনমোহর সাব্যস্থ করে বিবাদী জাকির হোসেনের সাথে মুসলিম শরীয়াহ অনুযায়ী বিয়ে হয়।
বিবাদী জাকির হোসেন বিবাহিত থাকায় আমিনা বেগমকে বিয়ের সময় কোনও রেজিষ্ট্রি কাবিন সম্পাদন করে দেননি। পরবর্তীতে আমিনা বেগমের সাথে প্রবাসী জাকির হোসেনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে ২০০৯ সালের ৭ মে আমিনা আক্তার সুমন রশিদ নামের এক ব্যক্তির সাথে দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হন।
তার বয়স যখন ৬ মাস তখন তার পিতা জাকির হোসেন লন্ডন থেকে দেশে আসেন। পিতা মাতার সাথে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করে যাচ্ছিলেন রেদওয়ান।
মামলায় আরো উল্লখ করা হয় বাদী রেদওয়ান হোসেনের মাতা যখন ৬ মাসের অন্তস্বত্ত্বা ছিলেন তখন তার পিতা জাকির হোসেন লন্ডন চলে যান। ২০০৬ সালে প্রবাসী জাকির হোসেনের ঔরসজাত সন্তান রেদওয়ান হোসেন জন্মগ্রহণ করেন।
বাদী রেদওয়ান হোসেন প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর তার মায়ের দুঃসহ জীবনের কাহিনী শুনে ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর তার পিতা জাকির হোসনকে উপরোক্ত ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে এবং সন্তানের স্বীকৃতি দাবি করলে বিবাদী জাকির হোসেন তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
এতে রেদওয়ান হোসেন হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। এসময় জাকির হোসেন রেদওয়ান হোসনকে শাষিয়ে দেন যদি পুনরায় পিতার স্বীকৃতি দাবি করতে আসে তাহলে রেদওয়ানকে প্রাণে হত্যা করা হবে।
এরই মধ্যে রেদওয়ানের পিতা মাতার মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে জাকির হোসেন তার ছেলে রেদওয়ান হোসেন ও স্ত্রী আমিনা আক্তারকে অস্বীকার করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং আমিনাকে তালাক প্রদান করেন।
রেদওয়ান হোসেন বিজ্ঞ আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন এবং জাকির হোসেনর ঔরসজাত পুত্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সুবিচার কামনা করেন।
এ অবস্থায় দিশেহারা রেদওয়ান মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তাছাড়া সামাজিকভাবে লোকজনের অশালীন কথাবার্তায় রেদওয়ানের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।