জমজম বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে পবিত্র মাহে রামাদান উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় নগরীর রায়নগর দপ্তরীপাড়া প্রতয়ন-১১৪ জমজম একাডেমির আন্ডারগ্রাউন্ডে ১০০০ পরিবারের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জমজম বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সমাজের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দারিদ্র ও দুর্ভোগ নিরসন এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবনমানের উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই আলোকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পবিত্র মাহে রমজানের আগে সিলেট নগরীর দিনমজুর ও খেটে-খাওয়া মানুষদের মাঝে ইউকে প্রবাসী সিলেটের কিছু প্রতিশ্রুতিশীল ও তরুন মানুষদের সহযোগিতায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বক্তারা আরো বলেন, সমাজের বিত্তবানদের উচিত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যদি একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হই, তবে সমাজে আর কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না। বক্তারা দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সবার প্রতি আহবান জানান।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাইক্লিষ্ট টিমের সদস্যদের মাঝে শাহ মোহাম্মদ আলী, শেল আহমেদ, মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, জমজম বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক মাহবুব ছোবহানি চৌধুরী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, জমজম একাডেমি’র সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর, এইচআর এডমিন আব্দুল হক আনহার, সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর শেখ তাসনিম সাকিব, প্রজেক্ট প্ল্যানিং এন্ড ইমপ্লিমেন্টেশন বিভাগের ইনচার্জ মো: তৌহিদুল ইসলাম, প্রকল্প সমন্বয়ক মো: আব্দুল হান্নানসহ গন্যমান্য মুরব্বিগন।
‘ইপিক এক্সপিডিশন বাইক রাইড’ নামে সিলেটি প্রবাসী ৩০ জনের একটি সাইক্লিস্ট টিম নিরাপদ পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন নগরী ও বায়ুদূষণ কমানোর লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গত ৪ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, টেকনাফ ও সিলেটে প্রায় ৩৯০ কিমি. বাইসাইকেল রাইড করেছে। এছাড়া তারা বৃটেনে আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে সিলেটের সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে তহবিল সংগ্রহ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার নগরীর রায়নগর দপ্তরীপাড়াস্থ জমজম একাডেমিতে ১০০০টি পরিবারকে ১২কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ২কেজি ছোলা ও ১ লিটার সয়াবিন তৈল এবং ১৫টি এতিমখানায় ২০০ কেজি করে চাল জমজম বাংলাদেশের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।