
এক তরুণীকে (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবির অভিযোগ,আটক দুই।
টঙ্গীতে এক তরুণীকে (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় করা মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী একটি বেকারিতে কাজ করেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে তিনি এক পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে কারখানায় কাজে যাচ্ছিলেন। পথে তিন যুবক তাদের গতি রোধ করেন। পরে পুরুষ সহকর্মীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই তরুণীকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্তরা তাদের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভুক্তভোগীকে ভিডিও দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করে ছেড়ে দেন তারা।
এ ঘটনায় পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এ ছাড়া ঘটনার পর পুলিশ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত দুজন হলেন টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন মাস্টারপাড়া এলাকার মো. মাসুম (৩৬) ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নীলক্ষা গ্রামের সজীব মিয়া (২৫)। অভিযুক্ত আরেক যুবক পলাতক। তার নাম আবু বক্কর (২৬)। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার কচুয়ামুড়া গ্রামে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপরিদর্শক (এসআই) উৎপল কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, তরুণী অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় জানতেন না। অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে মামলার পর আমরা অভিযুক্ত মাসুমকে গ্রেপ্তার করি। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ ও টাকা দাবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আজ বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।