চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন,অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস । ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য দেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এর পর নতুন সরকারের দায়িত্ব নিতে বলা হলে, তা সম্পর্কে চমকে যান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “আমার কোনো ধারণা ছিল না যে, আমি সরকারের নেতৃত্ব দেব। এর আগে কখনো সরকারি দায়িত্ব পালন করিনি এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করতে হয়েছে।
ড. ইউনূস জানান, নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা নির্ভর করছে কত দ্রুত সরকার সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে তার ওপর। তিনি বলেন, “যদি আমরা দ্রুত সংস্কার করতে পারি, তবে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে, আর যদি সংস্কারের পরিমাণ বেশি হয়, তবে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।
এছাড়া, গ্রীষ্মে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংস বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা বিশৃঙ্খলা থেকে উঠে এসেছি, যেখানে মানুষের গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
ড. ইউনূস বলেন, “আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত দলটির নিজেদেরই নিতে হবে। নির্বাচনে কারা অংশ নেবে, সে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনই নেবে,”—এমনটাই জানিয়েছেন নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, “একবার পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে, আমরা কিছু কাজ সংগঠিত করা শুরু করি। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার অগ্রাধিকারে ছিল।”
এদিকে, শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নানা ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি উঠেছে।
এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে, অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আওয়ামী লীগ তাদের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে, আমি তাদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচন কমিশনই ঠিক করবে কারা নির্বাচনে অংশ নেবে।
এছাড়া, শান্তি, শৃঙ্খলা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সাবেক সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনীতি একেবারেই বিধ্বস্ত, যেন ১৬ বছর ধরে একটি ভয়ানক ঝড় বয়ে গেছে এবং আমরা এখন সেই টুকরোগুলো সুষ্ঠুভাবে পুনর্গঠন করার চেষ্টা করছি।
সুত্র: বিবিসি