
রাইজিংসিলেট- ইন্টারনেট বন্ধের ক্ষমতা বাদ যাচ্ছে, টেলিযোগাযোগ আইনে বড় পরিবর্তন। বাংলাদেশে আর যেন ইন্টারনেট বন্ধ করা না যায়—এই লক্ষ্যে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে টেলিযোগাযোগে আড়ি পাতার বিষয়েও আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের কথা বলা হয়েছে।
২০২৫ সালের ২৮ জুলাই, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে আইন সংশোধনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।
নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকার বা কোনো বেসরকারি সংস্থা যেন ইচ্ছামতো ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করতে না পারে। এ জন্য আইনে সংশোধন এনে এই ক্ষমতা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া, আড়ি পাতার ব্যবস্থাপনায় শুধু একটি নির্দিষ্ট সংস্থাকে নয়, বরং অন্যান্য আইনসম্মত সংস্থাগুলোকেও একটি কাঠামোর মধ্যে এনে একটি আধা-বিচারিক স্বীকৃত প্রক্রিয়ায় রাখার প্রস্তাব এসেছে।
বিটিআরসির স্বাধীনতা ও জবাবদিহির বিষয়েও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যেমন—লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন, নাম পরিবর্তন ও শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন; রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ এবং বকেয়া আদায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ট্যারিফ নির্ধারণসহ অনেক ক্ষেত্রে তাদের পূর্বানুমতি না রাখার পক্ষপাতী তারা, যাতে বিটিআরসি আরও কার্যকরভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে কিছু নীতিগত ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি রাখার বিষয়টি থাকবে।
মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক মানের কর্মদক্ষতা সূচক (KPI) ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য ভয়ভীতি সৃষ্টি হয় এমন ধারা সংশোধনের তাগিদও এসেছে।
সবশেষে, দেওয়ানি ও ফৌজদারি অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করে আইনের খসড়া তৈরি করে তা দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।