
রাইজিং সিলেট- সাদাপাথরে লুটপাট: মামলা ২০০০ জনের বিরুদ্ধে, গ্রেপ্তার ৫। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন পিচ্চি কামাল নামে পরিচিত কামাল মিয়া, আবু সাঈদ ও আবুল কালাম। এদের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জেই। অন্যদিকে ট্রাকে করে পাথর পরিবহনের সময় ইমান আলী ও জাহাঙ্গীর আলমকে চেকপোস্টে আটক করা হয়।
এই ঘটনায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা ২ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ কোয়ারি এলাকা থেকে কোটি টাকার পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন ও সরানো হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, সরকারি খনিজ সম্পদ লুটপাট খনি ও খনিজ সম্পদ আইন, ১৯৯২ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালার লঙ্ঘন। একই সঙ্গে দণ্ডবিধির অধীন ফৌজদারি অপরাধও সংঘটিত হয়েছে।
প্রশাসনের অভিযানে গত তিন দিনে প্রায় এক লাখ ঘনফুট লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মোট কত পরিমাণ পাথর লুট হয়েছে তা নিশ্চিত করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাথর লুটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার এবং একজন উপজেলা পর্যায়ের নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, হাইকোর্ট সাত দিনের মধ্যে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে এবং জড়িতদের তালিকা আদালতে জমা দিতে বলেছে। এই রিটটি দাখিল করেন মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি।