
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অন্যতম প্রাকৃতিক পর্যটন স্পট উৎমা ছড়া। পাহাড়ি ছড়া, রঙিন পাথর আর স্বচ্ছ জলের কারণে জায়গাটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। কিন্তু বর্তমানে উৎমা ছড়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংসের মুখে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এই ছড়া থেকে পাথর ও বালু লুট করে বিক্রি করছে।
অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সিলেট জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাকিম আহমেদ ফরহাদ, যিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বরমসিদ্ধিপুর গ্রামের ফয়জুল হকের ছেলে। অভিযোগ অনুযায়ী, ফরহাদের নেতৃত্বে গঠিত একটি চক্র উৎমা ছড়া ও সাদাপাথর এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুটে নিচ্ছে। শুধু বালু-পাথর নয়, ছড়ার পাশে নির্মিত খাঁড়ার ব্রিজটিও ভেঙে দিয়েছে তারা, ফলে পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে।
আরও পড়ুন —উৎমা ছড়া নদীতে যুবদল নেতা ফরহাদের নেতৃত্বে চলছে বালু লুট, প্রশাসন নীরব!
অভিযোগে বলা হয়, এই সিন্ডিকেট গত ৫ মাস ধরে নিয়মিতভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ঘনফুট বালু ও ৫ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। প্রতিটি ২শ ফুটের পাথরবাহী গাড়ি থেকে গড়ে ৪ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে।
সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—
মইন উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন (উত্তর জাঙ্গাইল)
আলী নূর, রাসেল, কালা মিয়া, সাদেক হোসেন
এনামুল হক, আব্দুল গাফফার কালা, আব্দুল মালিক ওরফে ভিজি মোল্লা
উছমান (বনপুর গ্রাম)
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফরহাদ উপজেলা প্রশাসন ও থানাকে ম্যানেজ করে এসেছে। এমনকি সরকারী সম্পদ ছাড়াও, আশপাশের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থেকেও জোর করে বালু-পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি, কারণ তারা প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
তবে, সাদাপাথর এলাকায় প্রশাসনিক অভিযানের পর, বর্তমানে ফরহাদ সিন্ডিকেট কিছুটা নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে সেলফোনে কথা বললে ফরহাদ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, “উৎমা ছড়া দুর্গম এলাকায় অবস্থিত, সবসময় নজরদারিতে রাখা সম্ভব হয় না। মাসখানেক আগে ইউএনও ম্যাডামকে নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।