
মাত্র কদিন বাদেই আইফোন ১৭ সিরিজ উন্মোচন করতে অ্যাপল। মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও বরাবরের মতো এবারও নতুন মডেলের আইফোনের দাম ও কারিগরি তথ্য নিয়ে লুকোচুরি খেলছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, অ্যাপলপ্রেমীদের পাশাপাশি প্রযুক্তি বিশ্বে নতুন আইফোনের ফিচার আর দাম নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা।
বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, বরাবরের মতো এবারও চারটি মডেল নিয়ে নতুন আইফোন সিরিজ উন্মোচন করবে অ্যাপল। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগ্যান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবার আইফোনের দামে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না। কেবল প্রো মডেলের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
নতুন মডেলের আইফোন উন্মোচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোর অ্যাপল পার্কে আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে অ্যাপল। এরই মধ্যে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দাওয়াতপত্রও পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এর মধ্যে কেবল আইফোন ১৭ প্রোর দাম বাড়তে পারে। তবে, দাম বাড়ার পেছনে মূল কারণ হবে ধারণক্ষমতা। গত বছর আইফোন ১৬ প্রো বাজারে এসেছিল ৯৯৯ ডলার ভিত্তিমূল্যে, যেখানে প্রাথমিক ধারণক্ষমতা ছিল ১২৮ গিগাবাইট। এবার প্রো মডেলটির শুরুর সংস্করণেই থাকতে পারে ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা।
জেপি মরগ্যানের তথ্যমতে, আইফোন ১৭ মডেলের সম্ভাব্য দাম ৭৯৯ ডলার। আর আইফোন ১৭ এয়ারের দাম ৮৯৯ থেকে ৯৪৯ ডলার, আইফোন ১৭ প্রোর দাম ১ হাজার ৯৯ ডলার এবং আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের দাম ১ হাজার ১৯৯ ডলার হতে পারে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, জেপি মরগ্যানের পূর্বাভাস সঠিক হলে আইফোন ১৬ সিরিজের মতোই দাম স্থিতিশীল রাখবে অ্যাপল। শুধু প্রো মডেলের দাম বাড়বে ধারণক্ষমতা পরিবর্তনের কারণে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে গ্রাহকদের আগ্রহ ধরে রাখতে এই কৌশল সহায়ক হতে পারে অ্যাপলের জন্য।
সবচেয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে আইফোন ১৭ এয়ার মডেলটি নিয়ে। প্লাস সংস্করণের জায়গা নিতে আসা এই মডেলটিতে অতিরিক্ত পাতলা নকশা থাকার কারণে দাম ৫০ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।