
হলিউড অভিনেতা টম হল্যান্ড বর্তমানে ‘স্পাইডারম্যান: ব্র্যান্ড নিউ ডে’ ছবির কাজে ব্যস্ত। এরইমধ্যে জানালেন নিজের অসুস্থতা সম্পর্কে। দীর্ঘদিন ধরে ডিসলেক্সিয়া (পঠনবিকার) ও এডিএইচডি’র (অতি-চঞ্চলতা ও অমনোযোগ) মতো বিরল রোগে আক্রান্ত তিনি।
সম্প্রতি বিনোদনভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল আইজিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ডিসলেক্সিয়া ও অ্যাটেনশন-ডেফিসিট/হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) রোগ নিয়ে কথা বলেন। কখনও কখনও এই রোগ দুটি তার কাজে ব্যাঘাত ঘটায়, তখন সেই বাধা কীভাবে কাটিয়ে উঠেন—এ বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
ছোটবেলায় এই তারকার ডিসলেক্সিয়া ধরা পড়ে। তখন তার বয়স মাত্র ৭। স্পাইডারম্যান তারকা জানান, কোনো লেখা বানান করতে গেলে তাঁকে বড় অসুবিধায় পড়তে হয়। যদিও বাবা-মায়ের উৎসাহ তাঁকে সবসময় সামনে এগোতে সাহায্য করেছে। তিনি নিজেও এ বিষয়ে অন্যদের উৎসাহিত করেন, যা ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিন্নভাবে চিন্তা করতে শেখায়।
টম হল্যান্ড বলেন, আমার এডিএইচডি আছে এবং আমি ডিসলেক্সিয়াতে আক্রান্ত। মাঝেমধ্যে কেউ যখন আমাকে শূন্য ক্যানভাস দেন, তখন আমি কিছুটা ঘাবড়ে যাই।
যোগ করে বলেন, কখনও কখনও চরিত্র ফুটিয়ে তোলার সময়েও এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
এ ধরনের অসুখের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সুপারম্যান তারকার ভাষ্য, একজন তরুণ কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক, যা-ই হোন না কেন—এমন কিছুর সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন, যা আপনাকে সৃজনশীল হতে বাধ্য করে, বৃত্তের বাইরে গিয়ে ভাবতে বাধ্য করে এবং পরিবর্তন আসে। আমি মনে করি, আমরা যত বেশি এই ধরনের কাজ করব, ততই ভালো।
বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে টম সেসময় আরও বলেছিলেন, ‘বানান করা আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। স্কুলে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। খুব বেশি ভালো করতে পারিনি, কিন্তু বাবা-মা আমাকে বলতেন, যতটা পারা যায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করো।
শেখার অক্ষমতা বানান ও পড়ার ওপর প্রভাব ফেলে—এই সমস্যার সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি লড়াই করতে হয় অভিনেতাকে। ২০২৩ সালে এক পডকাস্টে হাজির হয়ে টম বলেন, আমার ডিসলেক্সিয়া আছে, এটা একমাত্র বানান করার সময় ঘটে।
গত বছরের ডিসেম্বরে অভিনেত্রী জেন্ডায়াকে বিয়ে করেছেন টম হল্যান্ড। বর্তমানে এই তারকা দম্পতি প্রখ্যাত নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলানের ‘দ্য ওডিসি’ এবং ড্যানিয়েল ক্রেটনের ‘স্পাইডারম্যান: ব্র্যান্ড নিউ ডে’ সিনেমার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।