
ছাত্রদের বলাৎকারে অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুল মুন্নাফ মাথায় শয়তান ভর করার ফলেই এমন ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
স্বীকার করে তিনি আরও জানিয়েছেন বলাৎকারের পর ভুক্তভোগীর গলায় দা ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন যেন ঘটনা প্রকাশ না পায়।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জুগ্নীদহ তাহফিজুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসার আবাসিক ছাত্রদের ধারাবাহিকভাবে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুল মুন্নাফকে আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ স্বীকার করে এ কথা জানান।
সম্প্রতি ঐ মাদরাসার হেফজ বিভাগের দুজন শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় না যেতে চাইলে অভিভাবকদের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা জানায় মাদরাসার শিক্ষক তাদের গভীর রাতে রুমে টেনে নিয়ে মুখ চেপে ধরে খারাপ কাজ করে। এ ঘটনা কাউকে বলে দিলে দা দিয়ে গলা কেটে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এসময় ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে মাদরাসায় রাতে কয়েক শত মানুষ গিয়ে অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষকের বিচার দাবী করে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় উত্তেজিত জনতা মাদরাসার দুজন শিক্ষককে মারধরও করে। পরে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে, গত রোববার রাতে ঘটনা প্রকাশের পরেই মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়েছে মাদরাসার কর্তৃপক্ষ আর এদিকে ছাত্ররা নিজেদের ব্যাগপোটলা গুছিয়ে ছেড়েছে মাদরাসার। এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার পরই শাহজাদপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষককে আটক করে। অপরদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী জানান, ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ স্বীকার করেছে এবং মাথায় শয়তান ভর করার ফলেই এমন ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।