
আজমিরীগঞ্জে শিশুদের চল্লিশ টাকা পাওনার জের ধরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানাগেছে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের যশকেশরী গ্রামের মাসুক মিয়া গং ও মুফাচ্ছির মিয়া গংদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ১০-১২ দিন পূর্বে শিবপাশার যশকেশরী গ্রামের মুফাচ্ছির মিয়ার পক্ষের আলকাছ মিয়ার ছেলে রাবেল মিয়া (১২) একই এলাকার মাসুক মিয়ার পক্ষের নবী মিয়ার ছেলে নাইম (১৩) এর কাছে একটি খেলনার ব্যাটারি বিক্রি করে। কিন্তু কয়েকদিন যাবার পর নাইম রাবেলের পাওনা ৪০ টাকা না দেওয়ায় রাবেল নাইমের পিতা নবী মিয়ার কাছে বিষয়টি জানায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্য বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়রা উভয়পক্ষকে শান্ত করে বিষয়টি ১২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সালিশে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিয়ে নবী মিয়ার সাথে আলকাছ মিয়ার বাক-বিতন্ডা বাঁধে। এসময় আলকাছ মিয়ার লোকজন নবী মিয়াকে মারধোর করে। বিষয়টি উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
যশকেশরী গ্রামের মাসুক মিয়া জানান, কিছুদিন আগে বাচ্চাদের একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। পরে মুরব্বিরা বিষয়টি সালিশে মিমাংসার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের পক্ষের নবী মিয়াকে তারা মারধোর করে। এনিয়ে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাচ্চাদের চল্লিশ টাকা পাওনা নিয়ে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মুফাচ্ছির মিয়ার মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন কথা বলতে পারবো না, রোগী নিয়ে সিলেটে যাচ্ছি।