
রাইজিংসিলেট- প্রতিদিন হাঁটা: সহজ অভ্যাস, বিশাল স্বাস্থ্য উপকারিতা। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততায় মানুষ যখন জিমে যাওয়ার সময় খুঁজে পায় না, তখন প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটাও হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস শরীর ও মনের উপর রাখে সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক প্রভাব।
হৃদরোগ ঝুঁকি কমায়- হাঁটা একটি অ্যারোবিক ব্যায়াম। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদয়ের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০–৩০% পর্যন্ত কমাতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর- বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত হাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও এটি বিশেষভাবে কার্যকর।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক- প্রতিদিন ৩০–৪৫ মিনিট হাঁটার ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় হয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে। এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, ফলে দীর্ঘমেয়াদে স্থূলতার প্রবণতা কমে।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে- শুধু শারীরিক নয়, হাঁটা মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। হাঁটার সময় মস্তিষ্কে ডোপামিন ও সেরোটোনিন নিঃসরণ হয়, যা স্ট্রেস কমাতে ও মুড ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের বিরুদ্ধে এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
হাঁটার সহজ উপায়গুলো
সকালে বা সন্ধ্যায় বাড়ির আশপাশে হাঁটুন
অফিসে লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন
কাজের ফাঁকে হেঁটে একটু বিশ্রাম নিন
মোবাইলে কথা বলার সময় বসে না থেকে হেঁটে নিন
চিকিৎসকদের পরামর্শ “হাঁটা এমন একটি ব্যায়াম যা সব বয়সের মানুষ করতে পারে। এটি যেমন সহজ, তেমনই কার্যকর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ঘুম ভালো করতে হাঁটার বিকল্প নেই।” বয়স, ওজন বা ব্যস্ততা—কোনোটাই হাঁটার অভ্যাস গড়ার পথে বাধা নয়। প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট নিজের জন্য সময় বের করে হাঁটুন—এই সহজ অভ্যাসটিই হতে পারে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।