
রাইজিংসিলেট- বর্ষার দিনে বৃষ্টির পরশে মনের যেমন প্রশান্তি আসে, তেমনি থেকে যায় নানান ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা। বিশেষ করে এই সময়ে ভাইরাসজনিত জ্বর, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্র এবং পেটের রোগের প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা হয় আরও বেশি।
ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ:
হঠাৎ তীব্র জ্বর
মাথাব্যথা ও শরীর ব্যথা
চোখ দিয়ে পানি পড়া
দুর্বলতা
সাধারণত এসব জ্বর ৫–৬ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে তিন-চার দিনের মধ্যে জ্বর না কমলে বা নতুন উপসর্গ দেখা দিলে রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি।
অন্যান্য সংক্রমণ: ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া: জ্বরের সঙ্গে কাঁপুনি, মাথাব্যথা ও জয়েন্টে ব্যথা থাকে। ডেঙ্গুতে রক্তক্ষরণও হতে পারে, যা গুরুতর পর্যায়ে যেতে পারে।
টাইফয়েড বা গ্যাস্ট্রোএন্টারাইটিস: পেটের সংক্রমণজনিত জ্বর, যেখানে বমি, ডায়রিয়া, পানি ও লবণ-খনিজের ঘাটতি হতে পারে।
শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ: কাশি, সর্দি, বমির পাশাপাশি তীব্র জ্বর। অবহেলা করলে নিউমোনিয়া হতে পারে।
করণীয়:
- বৃষ্টিতে ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব শুকনো ও পরিষ্কার পোশাক পরে নিন।
-
গরম খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
-
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং তরল খাবার গ্রহণ করুন।
-
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা জ্বরে খিঁচুনি (ফিব্রাইল কনভালশন) ঝুঁকিতে থাকতে পারে—সতর্ক থাকুন।
-
সাধারণ ওষুধে জ্বর না কমলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা করুন।
-
মশা থেকে বাঁচতে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুন এবং মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করুন।
প্রতিরোধই সেরা ব্যবস্থা: বর্ষার সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং বৃষ্টিতে ভিজে গেলে দ্রুত নিজেকে শুকিয়ে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জ্বর হলে তা স্বাভাবিক মনে করে অবহেলা না করে, প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলেই ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।