ঢাকাসোমবার , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সীমান্তে গরু চোরাচালান সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য,শতবার লিখলেও আমার কোনো অসুবিধা নেই-গোলাম

rising sylhet
rising sylhet
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫ ১০:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

রাইজিং ডেস্ক ::সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ভারতীয় চোরাই গরুকে কেন্দ্র করে আব্দুল খালিক ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে হেলাল উদ্দীন, জালাল মেম্বার, সেবুল, ফরিদুল ও ফারুকের সমন্বয়ে একটি চক্র সীমান্তে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা বিজিবি ও থানা পুলিশের বিট কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে নিরাপদে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ এক ইউপি চেয়ারম্যান এবং এক সাংবাদিক নেতা। তাদের প্রভাবের কারণে প্রতিদিন প্রকাশ্যে হাজারো চোরাই গরু তোয়াকুল বাজারে বিক্রি হচ্ছে এবং বাজারের রশিদের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে বিপুল অঙ্কের টাকা ।

চোরাই গরুর নিরাপদ স্থান তোয়াকুল বাজার-সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু গোয়াইনঘাট সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। এসব গরু প্রথমে হাদারপার বাজার ও পিরেরবাজারে নিয়ে যায় । যেখানে প্রতিটি গরুর জন্য দুই হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে রশিদ দেওয়া হয়। এভাবেই চোরাই গরুকে দেওয়া হচ্ছে বৈধতা।

এখানে শুধু ভারতীয় চোরাই গরুই নয়, দেশীয় চুরি হওয়া গরুকেও রশিদ দিয়ে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন — সীমান্ত ঘেঁষে চলছে চোরাচালান ব্যবসা-আমি চোরাই মালামাল এনে ব্যবসা করি-ডালিম

হাদারপার বাজারে হেলাল উদ্দীন, গোলাম হোসেন, জালাল মেম্বার ও সেবুল নেতৃত্ব দিচ্ছেন; অপরদিকে পিরেরবাজারে সক্রিয় রয়েছেন আব্দুল খালিক, ফরিদুলসহ আরেক দল। তাদের দেওয়া রশিদের ক্ষমতায় প্রকাশ্যে এসব চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে।

চাঁদাবাজির পদ্ধতি-গরু-মহিষ প্রতি রশিদে সরকারি নির্ধারিত ফি ৫০০ টাকা লেখা হলেও বাস্তবে আদায় করা হচ্ছে ১,০০০ থেকে ১,৫০০ টাকা। পাশাপাশি, রাস্তায় পুলিশি ঝামেলা এড়ানোর নাম করে গাড়ি প্রতি ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এই টাকার বড় অংশ সিন্ডিকেটভুক্ত নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিন শুধু বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়েই প্রায় ৫০০ উপরে গরু ঢুকছে, কিন্তু বিজিবির তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। যদিও পদস্থ কর্মকর্তারা চোরাচালান বন্ধে চেষ্টা করেন, তবে অধস্তন পর্যায়ের কিছু সদস্য চক্রের সঙ্গে আঁতাত করে লাইনম্যান নিয়োগ দিয়ে এই ব্যবসা চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে গোলাম হোসেন বলেন, এসব খবর শতবার লিখলেও আমার কোনো অসুবিধা নেই। প্রশাসন ও স্থানীয়দের ম্যানেজ করেই আমি ব্যবসা করি।

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া- গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, তিনি নতুন যোগ দিয়েছেন, তাই বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ বা পুলিশের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন যোগ দিয়েছি, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব। তবে অভিযুক্তদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনার সিলেট জানিয়েছে, ভারত বৈধভাবে বাংলাদেশে গরু রপ্তানি করে না। তবু প্রতিবছর সীমান্ত দিয়ে বিপুল সংখ্যক গরু প্রবেশ করছে, যা মূলত চোরাচালান সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।