
চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে এখন বেশ জনপ্রিয় একটি নাম চিয়া সিড।
‘সুপারফুড’ খেতাব পাওয়া এই ছোট্ট দানায় রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি-১, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত খেলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, চুল ঘন করা এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো খাবারের মতো চিয়া সিডেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিছু খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং শরীরের পুষ্টি গ্রহণেও বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
দুধ-ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকায় এটি স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে এখন বেশ জনপ্রিয়। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায়ও এই বীজের ব্যবহার ছিল। দেখতে অনেকটা তিলের মতো এই বীজ প্রধানত আমেরিকা ও মেক্সিকো অঞ্চলে উৎপাদিত হয়।
চলুন দেখে নেই কোন ৫টি খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড মেশানো উচিত নয়,
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার-কেক, হালুয়া বা মিষ্টি স্মুদির মতো খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড খেলে এর উপকারিতা অনেকটাই কমে যায়। এতে হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে অন্ত্রের অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
সাদা ভাত-চিয়া সিড ফাইবারসমৃদ্ধ আর সাদা ভাত মূলত পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট। একসঙ্গে খেলে হজমে অসামঞ্জস্য তৈরি হয়। এর ফলে পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি হতে পারে।
কলা-কলা ও চিয়া সিড দুটোতেই দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খেলে হজম ধীর হয়ে যেতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডুবো তেলে ভাজা খাবার-পাকোড়া, সমুচা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ভাজাপোড়া খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড খেলে হজমের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে বদহজম ও অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মিল্কশেক ও ফুল ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার-চিয়া সিড তরলের সঙ্গে জেল তৈরি করে। ফুল ফ্যাট ডেইরি জাতীয় খাবারের সঙ্গে খেলে হজম ধীর হয়ে যায় এবং সংবেদনশীল অন্ত্রে গ্যাস বা পেট ফাঁপা হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর উপায়ে চিয়া সিড খেতে চাইলে আলাদা করে পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া সবচেয়ে ভালো।