
রাইজিংসিলেট- বৃষ্টি মহান আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। এ বৃষ্টি শুধু মানুষের জন্যই নয়, বরং পশু-পাখি, গাছপালা—সব কিছুর উপকারে আসে। খরার পর এক পশলা বৃষ্টি যেমন প্রশান্তি আনে, তেমনি অতিবৃষ্টি অনেক সময় বিপদের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। তাই বৃষ্টির সময় যেমন শুকরিয়া আদায় করা হয়, তেমনি অতিবৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়াও নবীজির সুন্নাহ।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন: “তিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন এবং তা দ্বারা তোমাদের জন্য ফল-ফলাদি উৎপন্ন করেন, যা তোমাদের রিজিকস্বরূপ।”
(সূরা বাকারা, আয়াত: ২২)
আরেক স্থানে আল্লাহ বলেন: “তোমরা কি চিন্তা করেছ সেই পানি সম্পর্কে, যা তোমরা পান কর? তোমরাই কি তা মেঘ থেকে নামিয়ে আনো, না আমি বর্ষণ করি তা? আমি চাইলে তা লবণাক্ত করে দিতে পারি, তবুও তোমরা কেন কৃতজ্ঞ হও না?”
(সূরা ওয়াকিয়াহ, আয়াত: ৬৮-৭০)
বৃষ্টি নামার সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) যেসব দোয়া পড়তেন
১. কল্যাণকর বৃষ্টির জন্য দোয়া
اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সইয়্যিবান নাফিআন।
অর্থ: হে আল্লাহ! কল্যাণকর বৃষ্টি দান কর।
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯৭৫)
২. প্রবল বাতাস ও ঝড়ের সময় দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا فِيهَا وَخَيْرِ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা, ওয়া খাইরি মা ফিহা, ওয়া খাইরি মা উরসিলাত বিহি।
ওয়া আউযু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এর কল্যাণ চাই, এতে যা আছে তার কল্যাণ চাই এবং যে উদ্দেশ্যে এটি পাঠানো হয়েছে তার কল্যাণ চাই। আমি তোমার কাছে এর অনিষ্ট, এতে যা আছে তার অনিষ্ট এবং যার কারণে এটি পাঠানো হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।
(সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৪৯) বৃষ্টির সময় আমাদের উচিত আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা, তাঁর রহমতের আশায় দোয়া করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপত্তার জন্য তাঁর কাছে আশ্রয় চাওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর এই দোয়াগুলো আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠুক।