
রাইজিংসিলেট- সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাজারে সব ধরনের ডালের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে দেশি মসুর, অ্যাংকর ও ছোলার ডালের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের মতে, বড় ব্যবসায়ীরা রমজানের আগে থেকেই পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়াচ্ছেন, যাতে পরে অভিযোগ এড়ানো যায়। তারা বলছেন, রোজার সময় দাম বাড়ালে নজরে পড়ে, সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, তাই আগেভাগেই দাম বাড়ানো হচ্ছে।
তবে আমদানিকারকদের ভাষ্য, মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে ডালের সংকট। তাদের দাবি, রমজানের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। নভেম্বরের দিকে আমদানি বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি তথ্যমতে, দেশে ডালের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু তারপরও বাজারে দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বর্তমানে বাজারে দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫৫–১৬০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১৪০–১৪৫ টাকা। ছোলার দাম বেড়ে ১০০–১১৫ টাকায় পৌঁছেছে। অ্যাংকর ডাল আগে যেখানে ছিল ৬০–৬৫ টাকা, এখন তা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা কমেছে মুগ ডালের দাম, যার কেজিপ্রতি মূল্য এখন ১৩০–১৬০ টাকার মধ্যে।
টিসিবির তথ্যানুসারে, এক মাসে দেশি মসুর ডালের দাম বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ এবং ছোলার দাম ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে প্রতিবছর মোট ডালের চাহিদা প্রায় ২৬–২৭ লাখ টন, যার মধ্যে উৎপাদন হয় প্রায় ১০ লাখ টন। ফলে প্রতি বছর প্রায় ৬০ শতাংশ ডাল আমদানির মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করতে হয়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে সবচেয়ে বেশি ডাল আমদানি করা হচ্ছে।