
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওয়াদুদ আলফুকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এবং ৩নং তেলিখাল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানারও ওসি মো. রতন শেখ জানান, আলফুর বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলা, সাদাপাথর লুটসহ ২৩টি মামলা রয়েছে। তাকে কোম্পানীগঞ্জ ও কতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত ৬ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।
ওসি জানান, রিমান্ডের পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করবেন আদালত।
এর আগে গত শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় উপজেলার থানা সদর অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
এছাড়া ২০১৮ সালে কোম্পানীগঞ্জে আব্দুল আলী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ মামলায় তিনি কারাগারেও ছিলেন কয়েক মাস। ওই বছর দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দিতে জোড়া খুনের ঘটনায় তাকে দায়ী করা হয়। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, আলফুর লোকজনের হাতেই খুন হয়েছিলেন সিলেট সদর শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মাসুক মিয়া ও যুবলীগ কর্মী বাবুল মিয়া।
জানা যায়, আব্দুল ওয়াদুদ আলফু চেয়ারম্যানের বাড়ি সিলেটের বরইকান্দি এলাকায়। সাদাপাথর লুটকান্ডে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে তার নাম আছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও আলফু ছিলেন বহাল তবিয়তে। ৩নং তেলিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি তার প্রভাব ধরে রেখেছিলেন। ৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।