
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক ছাত্রীকে চলন্ত ট্রেনে উত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে কুমিল্লা ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তানভীর হোসেন নাজিম, ফাহিম হাসান অনিক, তাহমনি আহাম্মেদ, মো. নাঈম উদ্দিন ও মো. ফাহিম হোসেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে, রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে শ্লীলতাহানির শিকার ওই নারী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মোট ৯ জনের নাম উল্লেখ করে লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি ইভটিজিংয়ের মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপূজার ছুটি শেষে রোববার ওই নারী শিক্ষার্থী সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। ট্রেনটি মনতলা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে আটককৃত ব্যক্তিরা এবং তাদের সাথে থাকা আরও কয়েকজন ওই ছাত্রীকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে।
ঘটনার খবর পেয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি দল কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই পাঁচ অভিযুক্তকে আটক করা হয়। এ সময় বাকি চার ইভটিজার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ছাত্রী তাদের বাজে আচরণে আপত্তি জানালে অভিযুক্তরা আরও খারাপ ভাষায় গালাগালি এবং উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে কুমিল্লার দুর্গাপুর ইউনিয়নের শাসনগাছা রেলস্টেশন এলাকায় তানভীর হোসেন নাজিম অন্যদের সহায়তায় যৌন হয়রানির উদ্দেশ্যে ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন।
লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীর দায়ের করা মামলায় আটক ৫ জনকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক থাকা অন্য ৪ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেনে কিছু ছেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করছে। এটি শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সহায়তায় ৫ জনকে আটক করি। বিষয়টি যেহেতু ট্রেনের, তাই লাকসাম রেলওয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলেছি।